বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩০ বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি এবার, আইএমএফের সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের মতে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের নিচে নেমে যাবে এবং আগামী ৫ বছর প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ শতাংশ থাকবে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন, বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৯৯০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এটাই সর্বনিম্ন এবং গত দুই দশকের গড় প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।

জর্জিয়েভা বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলানো সম্ভব হলেও, ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি যে বেড়ে গেছে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের ব্যর্থতায় এ আর্থিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, 'ঘুরে দাঁড়ানো শ্রমবাজার, ভোক্তা চাহিদা যথেষ্ট থাকা এবং চীনের উত্থান সত্ত্বেও আমরা ধারণা করছি এ বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের কম থাকবে।'

আগামী সপ্তাহে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ বৈঠকের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে দুর্বল ও ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নতির সম্ভাবনা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'

২০২১ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ ছিল এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কার ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেকে নেমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়ায়।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির অর্ধেকের কৃতিত্ব থাকবে ভারত ও চীনের। তবে ৯০ শতাংশ উন্নত অর্থনীতির দেশ এ বছর নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি হার দেখবে।

তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য ঋণ শোধ করা এবং দুর্বল রপ্তানির কারণে মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি কমে আসবে।

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে মূল্যস্ফীতির ঠেকানোর পরামর্শ দেন তিনি। ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকির পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটের মতো খাতের দুর্বলতা পর্যবেক্ষণ করারও পরামর্শ দেন আইএমএফ প্রধান।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

4h ago