পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলা: আরাভের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আরও এক সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের আদালতে সাক্ষ্য দেন ডিবির তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইমতিয়াজ মাহবুব।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৪ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

জবানবন্দিতে ইমতিয়াজ আদালতকে জানান, মামলার তদন্তের শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন দিকে তদারকি করেছেন। তার তত্ত্বাবধানে ডিবির একটি দল রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে একটি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে মামলার বাদীসহ ৫ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত।

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান আরাভ খানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিরা হলেন- নিহতের বন্ধু রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হোসেন, মেহেরুন্নিসা ওরফে স্বর্ণা ও ফারিয়া বিনতে মাইশা।

এদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন এবং বাকি ৮ জন কারাগারে আছেন।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। প্রসিকিউশন অনুযায়ী, অভিযোগ করা হয়েছে যে পরিদর্শক মামুন (৩৮) ২০১৮ সালের ৭ জুলাই তার সবুজবাগের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান পরদিন সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর ডিবি পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে রহমতকে আটক করে।

পরে এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ৯ মে ঢাকার আরেকটি আদালত ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অস্ত্র মামলায় আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

'March to Jamuna': Police charge baton to disperse JnU students

At least 25 students were taken to DMCH after suffering injuries from baton charges or falling ill due to tear gas inhalation

19m ago