ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা

নায়ক ফারুকের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান হিরো আলম

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ঢাকা-১৭ আসনে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে জয়ী হলে প্রয়াত সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ওরফে নায়ক ফারুকের অসমাপ্ত কাজ করতে চান আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

আজ সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে আলম ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

কী মনে করে নির্বাচনে আসা জানতে চাইলে আলম বলেন, 'সবাই জানে গতবার (উপনির্বাচন) আমি বগুড়াতে নির্বাচন করেছি। সেই নির্বাচনে মানুষের ভালোবাসা এবং তাদের দোয়া দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে। আর ১৭তে (ঢাকা-১৭ আসন) নির্বাচন, আপনারা সবাই জানেন। যেহেতু আমি মিডিয়া ব্যক্তি, আমাদের মিয়া ভাই—ফারুক ভাই নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি কাজ করতে পারেননি।'

'মিডিয়াকর্মী হিসেবে আমি যদি ফারুক ভাইয়ের অসমাপ্ত একটি কাজ করতে পারি এই ৪-৫ মাসের মধ্যে সেসব চিন্তা করে...অনেকে বলেন, হিরো আলমকে গ্রামগঞ্জে ২-৪ জন রিকশাওয়ালা ভালোবাসে। এলিট শ্রেণি বা অন্যান্য শ্রেণির লোকজন ভালোবাসে না। এই আসনে কদিন ধরে আমি নিজে কাজ করলাম; দেখি এই আসনের মানুষ কী রকম। কিছু বস্তি এলাকা, ভাসানটেক-মহাখালীসহ কিছু এলাকায় ঘুরেছি। এসব এলাকায় গত কয়েক বছর কোনো কাজও হয়নি। সেখান থেকে আমি মনে করলাম, দেখি তো ৪-৫ মাসে কোনো ভালো কাজ করতে পারি কি না। এসব কিছু মনে করে নির্বাচনে আসা,' বলেন তিনি।

এলাকায় ঘুরেছেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা কী বলছেন জানতে চাইলে আলম বলেন, 'লোকজন দেখে এসেছে যে হিরো আলম সব সময় সত্য কথা বলে, মানুষের পাশে থাকে। সেই শ্রেণির লোক সবাই বলেছে "তুমি আসো, তোমাকে আমরা চাই"। আমি একটি এলাকায় নির্বাচন করব, সাহস না দিলে তো আমি নির্বাচন করতে পারি না! অবশ্যই তারা সাহস দিয়েছে বলে সব কিছু ভেবে-চিন্তে এই নির্বাচনে আসা।'

ডিবি প্রধান কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যে কোনো বিপদে পড়লে আমরা হারুন ভাইয়ের কাছে সবাই আসি। আজকে এখানে তার দোয়া নিতে এসেছি। বলেছি যেহেতু নির্বাচন, আপনাদের দোয়া ও সমর্থন দরকার। কারণ আপনারা মাঠে না থাকলে, পাশে না থাকলে নির্বাচনে আসা খুব মুশকিল হয়ে যাবে।'

চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই ওই আসনে নির্বাচন করতে চায়। চিত্র নায়ক ফেরদৌসের কথা শোনা যাচ্ছে, আরও অনেক বড় বড় সেলিব্রেটিদের কথা শোনা যাচ্ছে। আবার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কথা শোনা যাচ্ছে। এ রকম ভাইটাল ক্যান্ডিডেটদের সঙ্গে আপনি কি পারবেন, কী মনে হয়—গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আপনাদের কী মনে হয়, তাদের থেকে হিরো আলম কি ভাইটাল কম, যে তাদের দেখে ভয় করতে হবে! কে দাঁড়াল, কে দাঁড়াল না এসব ভাবলে নির্বাচনে দাঁড়ানোর দরকার নেই।'

'কে ভাইটাল, না ভাইটাল আমি কাউকে গুনব না। তারা চিন্তা করুক হিরো আলম ভাইটাল, তাদের যম হয়ে আসছে,' বলেন তিনি।

নির্বাচন আর অভিনয় একসঙ্গে কীভাবে চালাবেন জানতে চাইলে আলম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'নির্বাচনের সময় নির্বাচন, অভিনয়ের সময় অভিনয়। আপনারা জানেন, গত ২ জুন আমার একটি মুভি রিলিজ পেয়েছে; টোকাই। এর মধ্যে কাজও করেছি, সিনেমাও করেছি। ২৪ ঘণ্টা তো আমরা কাজ করি না! কাজের সময় কাজ, নির্বাচনের সময় নির্বাচন। আমি মিডিয়া জগতে আছি, পাশাপাশি আমি জনগণের পাশে থাকতে চাই।'

আপনি নিজে দাঁড়িয়েছেন নাকি কারো সমর্থন নিয়ে দাঁড়িয়েছেন জানতে চাইলে আলম বলেন, 'কারো সাপোর্ট নিয়ে তো কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে না, তাহলে একটা দল ধরতে হবে। কোনো দলের হয়ে নির্বাচন করলে সাপোর্ট পাওয়া যায়। আমি জনগণের সাপোর্ট পেয়েছি। এ রকম বড় আসনে একটি নির্বাচন, সেই আসনে জনগণের সাপোর্ট দরকার আগে। ভোট তো দেবে জনগণ।'

'ফারুক ভাই মারা যাওয়ার কয়েক দিন পরে সবাই বলেছে নির্বাচন করবে। আমি একবারও বলিনি। কারণ আমাকে দেখতে হবে এই এলাকায় আমি নির্বাচন করতে পারব কি না। জনগণ আমাকে চায় কি না। ওটা আমি গত কয়েক দিনে রিসার্চ করে দেখেছি, হ্যাঁ, এখন হবে,' বলেন তিনি।

জয় লাভ করলে কোন কাজগুলো আগে করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভাসানটেক-মহাখালী এলাকায় দেখেছি অবস্থা খুবই খারাপ। কড়াইল বস্তি; যেহেতু আমি বস্তি থেকে উঠে এসেছি, আপনারা সবাই জানেন। এলিট শ্রেণি লোক সেই কথাটাই গালি দিয়ে বলে, এই এলাকাগুলোতে আগে কাজ করতে পারি কি না।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago