ঈদের জামাতে এক কাতারে চাচা-ভাতিজা, ক্ষমা চাইলেন সাদিক আব্দুল্লাহ

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। 
ঈদের জামাতে চাচা-ভাতিজার কোলাকুলি। ছবি: টিটু দাশ/স্টার

এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। 

জামাতপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নিজের বিগত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চান আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর ভাতিজা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।

নগরবাসীর উদ্দেশে সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, 'কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে সেটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার স্বার্থ ছিল বরিশালবাসীর স্বার্থ। আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ ছিলনা। আপনাদের সাথে কাজ করছি সাড়ে চার বছর।… আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'

নবনির্বাচিত মেয়র ও চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি শুভেচ্ছা আগেও জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি আমার নবনির্বাচিত চাচাকে।'

সাদিক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, 'যত দিন আছি বরিশালবাসীর সেবা করে যাব, সেখানে মেয়র থাকা না থাকায় কিছু আসে যায় না।'

ঈদের জামাতের পরে চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর সঙ্গে কোলাকুলি করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। তার সঙ্গে একান্তে কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর পাশাপাশি তার বড় ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকেই মনোনয়ন দেয়।

মনোনয়ন নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ দানা বেঁধেছিল। এই বিভেদ নিরসনে হাসানাত আবদুল্লাহকে প্রধান করে কেন্দ্র ৯ সদস্যের একটি কমিটি করে দিলেও ভোটের আগে তাতে আস্থা রাখার মতো দৃশ্যমান কোনো পরিস্থিতি দেখা যায়নি। ফলে প্রচারের শুরু থেকেই নিজ দল আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। শেষমেষ ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।

আজকের ঈদের জামাতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল আহসান, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments