জেলখানায় প্রায় ৬০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মুন্সিগঞ্জে আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: স্টার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জেলখানায় যারা অন্তরীণ রয়েছে তাদের প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে এদের কারও কারও বিচার হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাস পর বের হয়ে আরও বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, 'এই জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। গোপনে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাদের ব্যাপারে জানাতে হবে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে মাদকদ্রব্যের হাত থেকে রক্ষা করতে। নইলে যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা বাধাগ্রস্ত হবে।'

আজ শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নে আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, 'আমরা যদি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, তাহলে যুব সমাজকে এই মরণ নেশা থেকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য জনপ্রতিনিধি, ইমামসহ সকলের সহযোগিতা চাই।'

তিনি বলেন, 'আমি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছি। প্রাথমিকভাবে ইউরোপের খুব ভয়ংকর অবস্থা ছিল। কিন্তু তারাও আজ ভালো অবস্থানে চলে এসেছে। আমি জানি বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি। আমাদের ৭০-৮০ লাখ মানুষ হয়ত মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেছে। সে তুলনায় হাসপাতাল (মাদক নিরাময় কেন্দ্র) খুবই অপ্রতুল। তবু আমরা শুরু করেছি।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার কিনে দিয়েছি।'

এসময় মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।

মাদক ও মানসিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগ আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রটি চালু করেছে। ৫তলা বিশিষ্ট কেন্দ্রটিতে রয়েছে ৫০টি বেড, খোলামেলা পরিবেশ, কেবিন, ডিল্যাক্স শয্যা, একক ও গ্রুপ কাউন্সেলিং সুবিধা, মেডিটেশন, কেস ম্যানেজমেন্ট, লাইব্রেরি, শরীর চর্চার জন্য জিম, ধর্ম চর্চার ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স, পারিবারিক কর্মসূচি ও চিকিৎসা পরবর্তী ফলোআপ সুবিধা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল এবং পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম।

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Time’s List: Yunus among 100 most influential people

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has been named among TIME magazine’s 100 Most Influential People of 2025.

2h ago