কারা কর্মকর্তার সঙ্গে ইমরান খানের ‘সাংকেতিক আলাপ’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানের সঙ্গে এক কারা কর্মকর্তার 'সাংকেতিক আলাপের' অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

আজ বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ কারাগারের সব কর্মীর জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্ররা আরও জানিয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে এক কারা কর্মকর্তার কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং এ কিছু শব্দ শোনা গেছে, যা 'সাংকেতিক'। কর্তৃপক্ষ এই শব্দগুলোর অর্থ বুঝতে পারেনি।

এ ঘটনার ফলে অ্যাটক কারাগারের ১৫০ জনেরও বেশি কর্মীর জীবনবৃত্তান্ত গোয়েন্দা বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থার কাছে যাচাই-বাছাই ও নিরাপত্তা ছাড়ের জন্য পাঠানো হবে।

এছাড়াও অ্যাটক কারাগারের সব কর্মীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের কেউ কোনো জঙ্গি বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কী না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

অ্যাটক কারাগারে আটক আছেন ইমরান খান। ছবি: এএফপি
অ্যাটক কারাগারে আটক আছেন ইমরান খান। ছবি: এএফপি

সূত্ররা  জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে জিওফেনসিং প্রযুক্তির মাধ্যমে কারাগারের কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১৯০৬ সালে নির্মিত এই কারাগারের কয়েদি ধারণক্ষমতা ১ হাজারেরও বেশি। তবে বর্তমানে এখানে ৭০০ কয়েদি আছেন এবং তারা শুধু সি-ক্লাস সুবিধা পাচ্ছেন।

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এখান থেকে অন্তত ১০০ কয়েদিকে আদিয়ালা ও অন্যান্য কারাগারে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের আদালতে অভিযুক্ত হন ইমরান এবং তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে অ্যাটক কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

সোমবার ইমরান খান তার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে কারাগারের পরিবেশ নিয়ে তার উদ্বেগের কথা জানান। ইমরান অভিযোগ করেন, দিনের বেলায় মাছি ও রাতে অন্যান্য পোকামাকড়ের যন্ত্রণা ভোগ করছেন তিনি।

পিটিআই ইতোমধ্যে ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর ও এ-ক্লাস সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইসলামাবাদের হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

4h ago