সমঝোতার কোনো সুযোগ দেখছি না: মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: ইউএনবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতার পরিকল্পনা আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন ২ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য রিপাবলিকান রিচ ম্যাকরমিক ও ডেমোক্র্যাট এড কেইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বলেছি তাদের দাবি, সরকার পদত্যাগ করুক। যদি তাই হয় তাহলে আমরা সমঝোতার কোনো সুযোগ দেখছি না।'

প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেস সদস্যদের কাছে জানতে চান, বিরোধী দল দাবি করলে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না।

বিরোধীরা নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকলে আলোচনায় বসার প্রশ্নই আসে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের বলেন, 'আমরা সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন করব। এতে সবার অংশগ্রহণ করা উচিত। কে জিতবে, কে জিতবে না সেটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা ভাল পারফর্ম করেছি এবং সেই কারণে মানুষ আমাদের ভোট দেবে।'

কংগ্রেস সদস্যরা বৈঠকে বলেন, তারা একজন রিপাবলিকান এবং অন্যজন ডেমোক্র্যাট হলেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করেন।

জবাবে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'আপনাদের টেড কেনেডির মতো একজন আছেন, যিনি ঐকমত্যের জন্য মধ্যস্থতা করেছেন। এখানে ঐকমত্যের কোনো দাবি নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন নয়, সরকারের পতন গুরুত্বপূর্ণ। যা আলোচনার বিষয় নয়।'

আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা কোনো ফর্মুলা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে মোমেন না বলেন।

তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নিজেদের প্রচেষ্টায় এটি করব। আমরা জনসমর্থন চাই। আওয়ামী লীগ সবসময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে।'

'সব দল যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চায়, তবেই তা সম্ভব। শুধু নির্বাচন কমিশন বা সরকার চাইলেই এটা নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচনকে অহিংস করার জন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

45m ago