নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ৫২ চিত্রশিল্পীর চিত্রকলা প্রদর্শনী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর

সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর আয়োজকদের সঙ্গে অতিথিরা। ছবি: স্টার

'বাংলাদেশের চিত্রকলা এমন একটি মাধ্যম, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রথম সারির শিল্পের সঙ্গে তুলনীয়।'

'কালারস অব ফ্রিডম' শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় চিত্রকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।

নিউইয়র্কের ডাউনটাউন ম্যানহাটনের গ্যালারি 'আর্ট আই ফ্যাক্ট' এ দেশের খ্যাতিমান ২৭ জন শিল্পী ও প্রবাসে অবস্থানরত ২৫ জন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে 'কালারস অব ফ্রিডম' শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনী হবে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, ফরিদা জামান, কনকচাঁপা চাকমা, শেখ আফজাল, শামসুদ্দোহা ও আফজাল হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ব্র্যান্ড শাহরিয়ার জামিল, আইবিটিভি ইউএসএ ও কালারস বিজনেস ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাকারিয়া মাসুদ, মিলা হোসেন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর রিজওয়ান মারুফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক মানের চিত্রকর্ম এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আরও বড় পরিসরে তুলে ধরা হবে।

আফজাল হোসেন বলেন, 'অর্থবান মানুষ অনেক আছে। কিন্তু অর্থপূর্ণ কাজের মানুষ খুব কম আছে। জাকারিয়া মাসুদ তাদেরই একজন, যারা অর্থপূর্ণ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।'

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইবিটিভি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত কালারস বিজনেস ম্যাগাজিন যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসের এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে চারুশিল্পীদের অবদান ছিল অপরিসীম। সে সময় শিল্পীসমাজ প্রগতিশীল ছাত্র ও সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করার পাশাপাশি পোস্টার, ব্যানার, মঞ্চসজ্জা, পেছনের দৃশ্যপট আঁকার কাজসহ বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতে 'বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্র ও অঙ্কন প্রদর্শনী ১৯৭১' শিরোনামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল তহবিল গঠনের পাশাপাশি বিশ্ববিবেকের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরা। বহির্বিশ্বের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করা। ওই প্রদর্শনীতে ১৬ জন শিল্পীর ৬৫টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus speech at Earthna Summit 2025 in Doha

No one too poor to dream, no dream too big to achieve: Yunus

He says in his keynote speech at Earthna Summit 2025 in Doha

1h ago