পাসপোর্ট নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাসপোর্ট অফিসে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের 'উহ' শব্দটিও আমরা শুনতে চাই না।
রোববার দুপুরে আফতাবনগরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পূর্ব (আফতাবনগর) ও ঢাকা পশ্চিম (মোহাম্মদপুর) এবং পাসপোর্ট বাতায়নের (কল সেন্টার) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি অফিস থেকে জনগণ সুবিধা পাবে। সেবা গ্রহণ করবে। এখানে যারা কাজ করবেন তাদের উদ্দেশে আমি বলব, আপনারা জনগণের সেবা করবেন এবং জনগণের সেবার জন্যই আপনারা। পাসপোর্ট সেবা নিতে আসা জনগণের 'উহ' শব্দটিও আমরা শুনতে চাই না। আপনারা যতই তাদের সেবা দেবেন ততই সুনাম অর্জন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এ ঘোষণার পর আমরা এমআরপি পাসপোর্ট হাতে নিলাম। এমআরপি নিয়ে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। সব প্রতিবন্ধকতা সামলে তখন এমআরপি চালু হয়েছিল। এরপর আমরা ই-পাসপোর্টের জগতে পা রাখি। আমাদের পাসপোর্টের মানও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে আমাদের পাসপোর্টের মান নিচের দিকে ছিল, এখন ধীরে ধীরে উন্নতি করে এটা উপরের দিকে যাচ্ছে। আমাদের পাসপোর্ট এরই মধ্যে একটি বিশ্বমানের হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশনের ই-গেইট স্মার্ট বাংলাদেশের ইঙ্গিত বহন করছে। এ ছাড়া খুবই দ্রুত ই-ভিসাও চালু হতে যাচ্ছে। আমরা প্যাসেঞ্জার অ্যাডভান্স ইনফরমেশনও চালু করতে যাচ্ছি। যদিও এটি আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে প্যাসেঞ্জার অ্যাডভান্স ইনফরমেশন চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটি চালু হলে কোনো যাত্রী টিকিট কাটলে আমরা জানতে পারব; কে বাংলাদেশে আসছেন বা কে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছেন। আমরা দেশের ৭১টি পাসপোর্ট অফিস এবং বিদেশে মোট ৩২টি জায়গা থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করতে পেরেছি। বিদেশে আমাদের যেখানে পাসপোর্ট অফিস আছে প্রতিটি জায়গা থেকেই আমরা দ্রুত ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করব।
বিমানবন্দরে ই-গেটে সেবা পেতে সমস্যার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা এখনো ট্রায়াল বেসিসে চলছে। যেকোনো কিছু চালুর আগে ছোটখাটো সমন্বয়হীনতা হয়ে থাকে। আপনি নতুন বাড়িতে উঠলেও দেখবেন যে লাইট ঠিকমতো জ্বলে না। সুয়ারেজে পানিটা ঠিকমতো পাস হচ্ছে না। আমাদের নজরে আসামাত্র আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ই-গেট যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয় সে বিষয়টি অবশ্যই দেখব।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা- ১৩ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
Comments