চট্টগ্রামে দুই দিনে তিন কিশোর নিখোঁজ

এদের মধ্যে দুই জন ছাত্র ও একজন কর্মজীবী।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে গত দুই দিনে তিন কিশোর নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে দুই জন ছাত্র ও একজন কর্মজীবী।

সরকারি মহসিন স্কুলের ছাত্র ছোটন বড়ুয়া (১৫) নগরীর চকবাজার ও বাকলিয়ার মানারুল হুদা মাদ্রাসার ছাত্র এসএম ওমর ফারুক (১৮) পাঁচলাইশ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। মো. ঈসা রাকিব (২০) নিখোঁজ হয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলা থেকে। রাকিব বোয়ালখালী উপজেলায় একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত রোববার সকালে ওমর ফারুক এবং সোমবার সকালে রাকিব ও সন্ধ্যায় ছোটন নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক শাহ জালাল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। তবে নিখোঁজের আগে তার ব্যবহৃত সাইকেলটি ছোটন বিক্রি করে দিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।'

ওমর ফারুকের বাবা এসএম হারুনুর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছেলে বাকলিয়ার মানারুল হুদা দাখিল মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। সোমবার থেকে তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মাদ্রাসা থেকে সে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। রোববার সকালে আমার শাশুড়িকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফারুকও এসেছিল। হাসপাতাল থেকে সে বাকলিয়ার গাড়িতে উঠলেও মাদ্রাসায় যায়নি। খোঁজ না পেয়ে থানায় জিডি করেছি।'

রাকিবের ভাই মো. মুসা বলেন, 'সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিল রাকিব। বিকেলে ফিরে আসেনি। আমার বড় বোনের কাছে তার ফেসবুক আইডি থেকে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেখানে লেখা ছিল ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি, আরও ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেবো। তবে টাকা কোথায় কীভাবে দিতে হবে তা বলা হয়নি। রাকিবের ফোন বন্ধ আছে। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।'

মুসা জানান, তার ভাই রাকিব বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী ইসলামিক সিনিয়র মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাকিব সবার ছোট। বাবা মারা যাওয়ায় আর্থিক অনটনে তিন বছর আগে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসহাব উদ্দিন ডেইলি স্টারকে জানান, 'এটি আসলে অপরহণ নাকি অন্য কিছু তা তদন্ত করছে পুলিশ।'

Comments