পানগাঁও এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ১২ কনটেইনারসহ বন্দর চ্যানেলের কাছে বার্জডুবি

চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল সংলগ্ন ১৪ নম্বর ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া বার্জ থেকে কনটেইনার উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: রাজীব রায়হান/ স্টার

ভাসানচরের কাছে প্রায় তিন মাস আগে ডুবে যাওয়া পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজ থেকে উদ্ধার করে ১২টি কনটেইনার বন্দরে নিয়ে আসার সময় এবার চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলের কাছে ডুবে গেছে একটি বার্জ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল সংলগ্ন ১৪ নম্বর ঘাটের কাছে টারমানাটার নামে উদ্ধারকারী বার্জটি ডুবে যাওয়ার সময় এতে থাকা ১২টি পণ্যবাহী কনটেইনার নদীতে পড়ে গেলেও গত রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে এবং আজ দুপুর পর্যন্ত ডুবে যাওয়া তিনটি কনটেইনার উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এতে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে দাবি করে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কনটেইনারগুলো ডুবে যাওয়ার স্থানগুলো নদীর তীরের কাছে এবং বন্দর চ্যানেল থেকে বেশ কিছুটা দূরে। ভাসমান বয়া দিয়ে স্থানগুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে এবং জাহাজের নাবিকদের ওই স্থান সতর্কতার সাথে অতিক্রম করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলমকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া পানগাঁও এক্সপ্রেসের কন্টেইনার উদ্ধারে নিয়োজিত বেসরকারি উদ্ধারকারী সংস্থা পিএস সালভেজের একটি ক্রেনবাহী বার্জ ১২টি উদ্ধারকৃত কন্টেইনার বহনকারী আরেকটি বার্জকে টেনে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে নিয়ে আসার সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ বন্দরের কর্ণফুলী চ্যানেল সংলগ্ন ১৪ নম্বর খালের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, ঘটনার পরদিন শুক্রবার সকালে জাহাজের নাবিকদের কাছে পাঠানো এক নোটিশে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই স্থানটি বিপদজনক উল্লেখ করে সেটি সতর্কতার সঙ্গে অতিক্রম করার জন্য অনুরোধ জানায়।

পিএস সালভেজের ম্যানেজিং পার্টনার আশরাফুল আলম দা ডেইলি স্টারকে জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং উত্তাল সাগরের কারণে ডুবে যাওয়া পানগাঁও এক্সপ্রেস থেকে কনটেইনার উদ্ধার তৎপরতা পুরোপুরি শুরু করতে প্রায় আড়াই মাসের বেশি লেগে যায়।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে তারা ক্রেনবাহী বার্জের মাধ্যমে পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজ থেকে ২৩টি কনটেইনার উদ্ধার করে একটি বার্জে রাখতে সমর্থ হন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বার্জটিকে বন্দরের দিকে টেনে আনা হচ্ছিল। 

ওই সময়ে চ্যানেলে তীব্র স্রোত থাকার কারণে বার্জটি ১৪ নম্বর খালের কাছে পাথরের বাঁধের সাথে লেগে একদিকে কাত হয়ে যায় এবং একে একে বারোটি কন্টেইনার খালে তীর এর কাছে পড়ে যায়।

ঘটনার পরপর টেনে আনা বার্জটিতে থাকা ক্রেনটিও বিকল হয়ে পড়ে, ফলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে দুদিন লেগে যায় বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago