আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন ১ নভেম্বর, ট্রায়াল সম্পন্ন

গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে যাত্রা করে। ছবি: সংগৃহীত

আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে চূড়ান্ত ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। 

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে যাত্রা করে। 

প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ট্রেনের চূড়ান্ত ট্রায়াল উপলক্ষে গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। 

প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া জানান, আগামী ১ নভেম্বর  বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। 

উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে দুই দেশের মধ্যে।

এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ অংশে ট্রেন চালানো হয়। 

পরীক্ষামূলক ট্রেনের পরিচালক আব্দুর রহিম ডেইলি স্টারকে জানান, আজ ট্রেনের পরিচালক (গার্ড), সহকারী পরিচালক, লোকো মাস্টার ও সহকারী লোকো মাস্টারসহ ৭ জন গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ট্রেনটি নিয়ে ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে যান এবং ফিরে আসেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ডেইলি স্টারকে জানান, উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে যেহেতু বাঁক বেশি তাই হয়তো সম্পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানো হবে না। 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে দেড় বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ৫ বছরেরও বেশি।

রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন এবং প্ল্যাটফর্মের কাজ এখনো বাকি আছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago