ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পঞ্চগড়ের ৫ স্থান
বেশিরভাগ মানুষের কাছে পঞ্চগড় মানেই যেন বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক দৃশ্যের দর্শনের ডাক। কিন্তু এই জেলায় পর্যটকদের জন্য অন্যান্য আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানও আছে।
চলুন পঞ্চগড়ের সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থানের কথা জানা যাক।
তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো
দেশের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত তেঁতুলিয়ার আছে শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য। ভাগ্য প্রসন্ন হলে এখান থেকেই দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘার। তবে সারা বছর নয়, শরতের শেষের দিকে এবং শীতকালে বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোর মতো ঐতিহাসিক পটভূমির একটি জায়গায় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে ২১ কিমি দূরে অবস্থিত এই বাংলোটিতে পর্যটকরা একবার ঘুরে আসতেই পারেন।
দেবীগঞ্জ করতোয়া সেতু
দেবীগঞ্জ করতোয়া সেতু হচ্ছে চতুর্থ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ১৯৯৮ সালে এটি চালু হয়। সেতুটিতে থেকে নদীর ধারের সুন্দর দৃশ্য অবলোবকন করা যায়। এটি পঞ্চগড়ের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। পঞ্চগড় সদর থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেতুটি হতে পারে লং ড্রাইভের আদর্শ স্থান।
কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট
ভ্রমণকারীরা দেখতে পারেন চা বাগানও। পঞ্চগড় শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে তেঁতুলিয়ার রওশনপুর গ্রামে অবস্থিত কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট চা বাগানের সবুজে আপনি দেখতে পাবেন আধুনিকতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেল।
বাংলাবান্ধা পয়েন্ট, তেঁতুলিয়া
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৯৯৭ সালে ১০ একর জমির ওপর নির্মিত এই স্থানটি বাংলাদেশ এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। এই স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান ভ্রমণ করেন পর্যটকরা। এই পয়েন্টটি পরিদর্শন করতে ভুলবেন না। এটি থেকে যাবে চমৎকার স্মৃতি হিসেবে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে যেতে হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
পঞ্চগড় রকস মিউজিয়াম
বাংলাদেশের একমাত্র রকস মিউজিয়ামটি পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত। পোড়ামাটির এবং ইট দিয়ে তৈরি মূর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রও আছে এই জাদুঘরটিতে।
পঞ্চগড়ে কীভাবে যাবেন
পঞ্চগড় ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনি বাস বা ট্রেনে যেতে পারেন সেখানে। যাত্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এসি/নন-এসির ওপর নির্ভর করে টিকিটের দাম ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন বা গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
পঞ্চগড় শহরে থাকতে পারেন, যেখানে কিছু ভাল হোটেল রয়েছে। বাজেটের ওপর ভিত্তি করে সরকারি গেস্ট হাউস, প্রাইভেট বোর্ডিং হাউস এবং অন্যান্য থাকার ব্যবস্থাও খুঁজে পেতে পারেন।
অনুবাদ করেছেন নাদিয়া বিনতে ইসলাম
Comments