সংসদ ভারসাম্যহীন—জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

সংসদ ভারসাম্যহীন—জি এম কাদেরর বক্তব্যের জবাবে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন বলে মত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

একজন গণমাধ্যমকর্মী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বর্তমান সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, এখানে প্রায় ২১ শতাংশ স্বতন্ত্র, ৭৫ শতাংশ সরকার দলীয় আর মাত্র চার শতাংশ বিরোধীরা; এই সংসদ কতটুকু ফাংশনাল হবে?

জবাবে জি এম কাদের কেন সংসদে এলেন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফাংশনাল না হলে উনি কেন এলেন? কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গতকাল কিন্তু আর কেউ; দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি, শুধু আনুষ্ঠানিকতা—আমি শুধু প্রস্তাব (স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব) করেছি।

'উনি তো একটা সুযোগ নিয়ে, স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে উনি যেসব কথা বলেছেন, এটা গতকাল বলা উনার ঠিক হয়নি। আরও সামনে সময় ছিল। উনি ফ্লোর নিয়ে অনেক কথাই বলতে পারতেন, গতকাল নবনির্বাচিত স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে শুরুটাই করলেন এমনভাবে যে, একটা তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন এবং লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন,' বলেন তিনি।

কাদের বলেন, 'বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানো, এত লম্বা ভাষণ দেওয়ার জন্য উনাকে আহ্বান জানানো হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। উনার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ আছে সামনে।

'কালকে সংসদ বসলো, সংসদে আপনি আসলেন এবং দলের নেতা নির্বাচিত হয়েই আসলেন; কেউ নেতা, কেউ উপনেতা, কেউ চিফ হুইপ—আনুষ্ঠানিকতা মেনেই তো এসেছেন! আর স্বাধীনতার পর এ দেশে মাত্র একজন বিরোধী দলীয় সদস্য ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন,' যোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রথম অধিবেশনেই জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না, এমন আশঙ্কা অবাস্তব নয়। এই সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।

'যদি সরকারি দলকে লাল বলি, তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা আশঙ্কার বিষয়। ভালোভাবে বললে বলতে হবে বিতর্কের বিষয়। দুই অংশের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে; অর্থাৎ সরকার ও বিরোধীদের সংসদ কর্মকাণ্ডের ব্যবধান যতটা কমবে, সংসদ ততটুকু কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

IMF to continue talks with Bangladesh for near-term agreement

The global lender said such an agreement would pave the way for completing the combined third and fourth reviews

2h ago