দাড়ির যত্ন নেবেন যেভাবে

কিন্তু দাড়ি শুধু রাখলেই হয় না, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে এর যত্নও নিতে হয়।
দাড়ির যত্ন
ছবি: সংগৃহীত

পুরুষদের আকর্ষণীয় অথবা সুন্দর করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে দাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ক্লিনশেভের পাশাপাশি তাই নিত্যনতুন দাড়ির স্টাইল দেখা যায়। দাড়ি পুরুষের লুক থেকে ব্যক্তিত্ব, সবকিছুতেই যোগ করেছে অন্য মাত্রা।

কিন্তু দাড়ি শুধু রাখলেই হয় না, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে এর যত্নও নিতে হয়। কেউ দাড়ি রাখার পরিকল্পনা করলে শুরুতেই মনে রাখতে হবে, দাড়ি চুলের মতো এত দ্রুত লম্বা হয় না। তাই দাড়িকে লম্বা করতে এবং পছন্দের শেপে আনতে সময় লাগবে। চলুন জানি দাড়ির যত্নে কী করবেন।

  • চুলের মতো আপনার দাড়িও নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। অনেক সময় দাড়ি বড় হলে ত্বকের মৃত কোষ দাড়িতে জমা হয়ে ব়্যাশ হয়। এর ফলে ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে দাড়ি বড় হলে বাড়তি নজর রাখা উচিত এবং নিয়মিত দাড়ি পরিষ্কার করা জরুরি। অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান দাড়িতে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন নাকি ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করলেই চলবে। মূলত দাড়ির যত্ন হবে আপনার চুলের মতোই। দাড়ির জন্য সালফেটমুক্ত মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে।
  • দাড়ি নিয়মিত আঁচড়াতে হবে। তা না হলে দেখতে উষ্কখুষ্ক লাগবে।
  • যত্নের অভাবে খুশকি হতে পারে আপনার শখের দাড়িতে। দাড়ির খুশকিকে বলা হয় বিয়ার্ড্রাফ। বিয়ার্ড্রাফ হয়ে গেলে কখনোই চুলের খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। কারণ মাথার ত্বক আর মুখের ত্বকের পার্থক্য অনেক। বিয়ার্ড্রাফ হলে দাড়িতে টক্সিন ফ্রি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন বা দুদিন ঘরে তৈরি অ্যান্টি-বিয়ার্ড্রাফ মাস্ক লাগাতে পারেন। চার টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা লেবুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে এই মাস্ক তৈরি করতে হয়। মিশ্রণটিকে দাড়ির নিচের ত্বকে লাগান। খুশকি সেরে যাবে।
  • চুলে যেভাবে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়, ঠিক সেভাবে দাড়ির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে পরিমিত পরিমাণে। তবেই আপনার দাড়ি থাকবে চকচকে ও আকর্ষণীয়।
  • দাড়ি মুছতে সবসময় নরম তোয়ালে ব্যবহার করবেন। গায়ে ব্যবহার করার সাবানে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এটি দিয়ে কখনো দাড়ি পরিষ্কার করবেন না। এতে দাড়ির পাশাপাশি ত্বকেরও ক্ষতি হবে।
  • দাড়ির যত্নে একটি বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান। আর তা হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। আপনি প্রতিদিনের খাবারে কী খাচ্ছেন তার ওপর শুধু দাড়ি নয়, শরীরের গঠন, ত্বক ও চুলের ঘনত্ব সবই নির্ভর করে। তাই পছন্দসই দাড়ি পেতে খেতে হবে প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাবার। জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
  • ত্বক কোমল রাখতে যেমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি, ঠিক তেমনি দাড়ি কোমল রাখতেও ময়েশ্চারাইজিং করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনার ত্বক ও দাড়ির ধরন বুঝে নারকেল তেল, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধি তেল, অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
  • দাড়ি শেভ করার ক্ষেত্রে ভালো মানের শেভিং ক্রিম ও রেজার ব্যবহার করা উচিত। এতে দাড়ির শেপ যেমন ভালো থাকবে, তেমনি ত্বকও ঠিক থাকবে।

তথ্যসূত্র:  আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি এসোসিয়েশন, হেলথলাইন।

 

Comments