মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ডিম, আলু, পেঁয়াজ, নিত্যপণ্য মূল্য, মূল্যস্ফীতি,
প্রতীকী ছবি। অলঙ্করণ: বিপ্লব চক্রবর্তী

চলতি বছরের মার্চে দেশের মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। 

গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার সর্বশেষ আর্থিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।

বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে। 

তুলনামূলকভাবে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলগুলোতে উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। 

মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, '১৮ মাসের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে দেশ। আর এর প্রভাব পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।'

এটি নিয়ন্ত্রণে পলিসি সুদের হার বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কৌশল বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে ড. মনসুর উল্লেখ করেছেন যে, বিলম্ব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই পদক্ষেপগুলো এখনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব দেখাতে পারেনি।

ক্রমাগত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হারের পেছনে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা এবং নিয়মিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে প্রাথমিকভাবে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt must not be allowed to fail: Tarique addresses BNP rally

Thousands join BNP rally from Nayapaltan to Manik Mia Avenue

2h ago