বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

এবারের বন্যায় তিন কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ, আট হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬০ লাখ টাকা শিশুখাদ্য, ৬০ লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান মুহিব | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দেশের ১৫টি জেলা বর্তমানে বন্যাকবলিত জানিয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান মুহিব বলেছেন, এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।

আজ শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বন্যা আরও দীর্ঘস্থায়ী হওয়া আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই বন্যাগুলো প্রতি বছরই হয়। হিমালয় থেকে পাহাড়ের পানির ঢল নামে এবং ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে, আস্তে আস্তে সাগরের দিকে চলে যায়। উত্তর দিক থেকে শুরু হয়, আরও দক্ষিণ দিক প্লাবিত হতে পারে।'

তিনি বলেন, 'শুধু এবার না, আমরা ধারণা করছি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুধু এবার না, পরবর্তী বন্যার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।'

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'পত্রিকায় আমরা দেখছি, লেখা হচ্ছে অনেকে খাবার পায়নি। সে জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো, কারণ আমরা তো পর্যাপ্ত খাবার দিচ্ছি!'

তিনি বলেন, 'আমরা ইউএনওর (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) কাছ থেকে প্রতিদিন রিপোর্ট পাই। রিপোর্টটি জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে পাঠান। সংসদ সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কাছে সুবিধা-অসুবিধার কথা জানান। সংসদ সদস্যদের এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।'

এবারের বন্যায় তিন কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ, আট হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬০ লাখ টাকা শিশুখাদ্য, ৬০ লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান মুহিব।

তিনি বলেন, 'সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, কক্সবাজার জেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ভবিষ্যতে যদি আরও বিস্তৃতি লাভ করে, সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago