ফাইনালে গোল করেই অবসরে যাবেন দি মারিয়া, চাওয়া মেসির
কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ— আর্জেন্টিনার সবশেষ তিনটি শিরোপা জয়ের পথে প্রতিটি ফাইনালে গোল করেছেন আনহেল দি মারিয়া। কোপার আরেকটি ফাইনাল দিয়ে তিনি যখন জাতীয় দল থেকে অবসরে যাচ্ছেন, তখন সতীর্থ ও বন্ধু লিওনেল মেসি চাইছেন, কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল করেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করবেন দি মারিয়া।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল দি মারিয়ার। সেই থেকে প্রায় ১৬ বছর ধরে দলটির ভরসার অন্যতম নাম তিনি। তবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সোমবার সকাল ছয়টায় অনুষ্ঠেয় ফাইনাল দিয়ে সাবেক হয়ে যাবেন।
২০২১ সালের কোপায় ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছরের দীর্ঘ শিরোপাখরা ঘোচায় আর্জেন্টিনা। ফাইনালের একমাত্র গোলটি করেছিলেন দি মারিয়া। এরপর ২০২২ সালে কাতারের মাটিতে টাইব্রেকারে ফ্রান্সের বিপক্ষে জিতে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আলবিসেলেস্তেরা। রোমাঞ্চকর ওই লড়াইয়ের প্রথমার্ধে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন দি মারিয়া। এই দুই শিরোপার মাঝে ফিনালিসিমা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। ইতালিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচেও দি মারিয়ার পা থেকে এসেছিল গোল।
দারুণ ধারাবাহিকতায় আরেকটি ফাইনালে উঠেছে দল, দি মারিয়ার কাছেও আরেকটি গোল চাইছেন মেসি। শনিবার লাতিন আমেরিকান গণমাধ্যম ডি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, 'কে জানে, হয়তো সে ফাইনালে আরও একটি গোল করবে, যেমনটা সে আগে খেলা সবগুলো ফাইনালে করেছে। এটা ঘটলে অসাধারণ হবে।'
গোটা আর্জেন্টিনা দল তার অবসরে যাওয়ার পক্ষপাতী না হলেও ছয়টি কোপা আমেরিকা ও চারটি বিশ্বকাপ খেলা দি মারিয়া পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এই প্রসঙ্গে মেসি বলেছেন, 'আমরা সব সময় তাকে বলেছি যে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে (আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যাও)... সামনে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ রয়েছে। কিন্তু ফিদেও (দি মারিয়া) মনস্থির করে ফেলেছে এবং কোনোভাবেই সেটা আর বদলাবে না।'
২০০৮ সালে মেসি-দি মারিয়াকে নিয়ে বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে নাইজেরিয়াকে হারিয়েছিল তারা। ওই ম্যাচেও জয়সূচক গোল করেছিলেন ১৯৮৮ সালে রোসারিও শহরে জন্মগ্রহণ করা দি মারিয়া।
৩৬ বছর বয়সী এই তারকা উইঙ্গার এখন পর্যন্ত ১৪৪ ম্যাচ খেলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আর্জেন্টিনার হয়ে তার চেয়ে বেশিবার মাঠে নেমেছেন কেবল তিনজন— মেসি, হাভিয়ের মাসচেরানো ও হাভিয়ের জানেত্তি। নিজে ৩১ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের ৩২ গোলে তিনি রেখেছেন অবদান।
Comments