রাতে কেন্দ্রীয় মিছিল, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কের

নাহিদ ইসলাম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় মিছিল বের করা হবে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মর্মান্তিক দিন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে আক্রমণ করেছেন। লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেছেন, ইটপাটকেল ছুড়েছেন। নারী শিক্ষার্থী, পুরুষ শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করেছেন।'

'আমি এখনো জানি না কতজন মোট আহত। ঢাকা মেডিকেলের পরিস্থিতি নির্মম। করিডোরে আহত ছেলে-মেয়েরা শুয়ে আছেন। সেখানে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নাই। ইমার্জেন্সি গেটে পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। ভেতর থেকে ধাওয়া দিয়ে মেয়েদের বাইরে এনে আক্রমণ করেছে।'

সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আজকে হেরে গেলে আর কোনোদিনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না। আমরা নায্য দাবিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছি। নায্য দাবিতে আজকে যদি জীবন দিতে হয়, দিতে হবে। আজকে যদি হেরে যাই, যদি প্রতিরোধ করতে না পারি, আর কোনোদিন পারব না।'

নাহিদ আরও বলেন, 'আপনারা নিজেদের মতো করে সংগঠিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যারা আছেন তাদেরকে আহ্বান জানাব ক্যাম্পাসে আসুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মিছিল বের হবে। সায়েন্সের হলে আমাদের ভাইরা অবস্থান নিয়েছে। আপুরা হলে হলে মিছিল শুরু করুন। ছেলেরা হলে অবস্থান করুন, হলে যেন কোনো সন্ত্রাসী ঢুকতে না পারে।'

'আমরা কিছুক্ষণ পর মিছিল শুরু করব। তবে বিচ্ছিন্নভাবে, সমন্বয়হীনভাবে কেউ কোনো ধরনের প্রতিরোধ করতে যাবেন না। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে। কথা দিচ্ছি আমরা আজকে থাকব, মাঠ ছেড়ে যাব না। ক্যাম্পাসে একজন সন্ত্রাসীরও ঠিকানা হবে না। সব সন্ত্রাসীকে বিতাড়িত করব এবং দাবি আদায় করে ছাড়ব।'

ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

6h ago