নারী এশিয়া কাপ

রেকর্ড রান তাড়ায় ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

ছবি: এসিসি

৯ বলে দরকার ৫ রান। লং অন দিয়ে কাভিশা দিলহারি মারলেন ছক্কা। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দের ঢল নামল শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফ থেকে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। ফাইনালে রেকর্ড রান তাড়ায় ভারতকে হারিয়ে দিল লঙ্কানরা। প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল দলটি।

ডাম্বুলায় রোববার টি-টোয়েন্টি সংস্করণের প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। মহাদেশীয় পর্যায়ে তাদের সেরা হওয়ার অপেক্ষার অবসান অবশেষে হয়েছে দেশের মাটিতে। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় সাতবারের শিরোপাজয়ী ভারতীয়রা। জবাবে ৮ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে ১৬৭ রান তুলে শিরোপা নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

ষষ্ঠবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণ মিলিয়ে আগের পাঁচটি ফাইনালই তারা হেরেছিল ভারতের বিপক্ষে। ২০২২ সালে হওয়া সবশেষ আসরেও তাদের স্বপ্নভঙ্গ করেছিল ভারত। এবার তারা শেষমেশ পেল সফলতার দেখা। অন্যদিকে, নয়টি আসরের সবকটিতে ফাইনালে ওঠা ভারত দ্বিতীয়বার হলো রানার্সআপ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এটি। শুধু তাই নয়, এশিয়া কাপের ফাইনালের ইতিহাসেও কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি এটি। আগের রেকর্ডটিও ভারতের বিপক্ষে হয়েছিল। ২০১৮ সালের আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ১১২ রান তাড়া করে জিতেছিল।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন লঙ্কানদের অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। ৪৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে হার্শিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। এই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কোনো রকম চাপ ছাড়াই খেলা শেষ করে শ্রীলঙ্কা। হার্শিতা ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ বলে করেন অপরাজিত ৬৯ রান। কাভিশা অপরাজিত থাকেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৩০ রানে।

এর আগে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন স্মৃতি মান্ধানা। তিনি ৪৭ বল মোকাবিলায় মারেন ১০ চার। এছাড়া, জেমিমাহ রদ্রিগেস ১৬ বলে ২৯ ও রিচা ঘোষ ১৪ বলে ৩০ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো কাভিশা ৩৬ রানে নেন ২ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

2h ago