চট্টগ্রামে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে হোটেলে হামলা-লুটপাট, গ্রেপ্তার ১১

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে খুলশীর ফয়েজলেক এলাকার একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানান, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কেউ নন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হোটেলে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে মামলাটি করেন খুলশী এলাকার প্যাসিফিক গেস্ট হাউজের মালিক নাজমুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার হয়েছেন আইমন দোভাষ, ইরফাত হোসেন, হাসনাত ঊল্লাহ, অরণ্য ঘোষ, ওমর ফারুক, শাহরিয়ার হান্নান, সাকিব খান, ফয়সাল চৌধুরী, আরাফাত হোসেন সিয়াম, সাইদ মোহাম্মদ আদনান, শুভ আহমেদ রনি। এছাড়া ইরফান নামের আরেকজনকে মামলায় আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। বন্যার কারণে সেখান থেকে স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলেকে এনে প্যাসিফিক গেস্ট হাউজে রাখেন তিনি। বুধবার সন্ধার দিকে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে ইরফাত হোসেন নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করে হোটেলে আসতে বলেন। হোটেলে ফিরে দেখতে পান তিনি আসার আগেই সেখানে ঢুকে ভাঙচুর হয়েছে এবং তার নয় বছরের ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগর ৮৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ও সিসিটিভির মেমোরি কার্ডও নিয়ে যায়। এরপর তিনি আবার খবর পান একই ভাবে ফয়েজলেক এলাকায় মোটেল সিক্স সনিক নামের আরেকটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে মারধর এবং অবরোধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত লোকজন ও কর্মচারীরা তাদের আটক করেন। নাজমুল তাদের শনাক্ত করার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যান।

Comments

The Daily Star  | English

July frontliners dominate the Ducsu race

So far, nine panels have been announced for the 28 Ducsu posts.

8h ago