জুন শেষে বিদেশি ঋণ ১০৩ বিলিয়ন ডলার

বিদেশি ঋণের সুদ
অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ কিছুটা কমেছিল। কিন্তু জুন শেষে তা আবার বেড়ে ১০৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাতে ছিল ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর চলতি বছরের মার্চে তা কিছুটা কমে ৯৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের তুলনায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বিদেশি ঋণ বেড়েছে চার শতাংশ।

যদিও বিদেশি ঋণের এই বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ করা সীমার মধ্যে রয়েছে, তবে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান ঋণ পরিশোধ করায় বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রায় তিন বছর আগে বিদেশি ঋণের সুদের হার ১ থেকে ২ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা ৮ থেকে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির মূল কারণ হিসেবে তিনি এটিকে উল্লেখ করেন।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকলে রাজস্ব ও বিদেশি মুদ্রা উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আয় সক্ষমতা কমে ঋণ পরিশোধের চ্যালেঞ্জ বাড়বে।

তারা আরও বলেছেন, বিদেশি ঋণ এবং ঋণ পরিশোধ উভয়ই বাড়ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধ আগের বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। মূল ঋণ ও সুদ পরিশোধসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago