বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা দিয়ে ইসির বিজ্ঞপ্তি

ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আর মঙ্গলবার রাতে ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখা এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।

এর আগে, গত ১ অক্টোবর ডা. শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয় চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালতের রায়ের পর আমরা আইনি দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের ক্ষেত্রে সংশোধন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।'

ইসির সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের ১ অক্টোবরের আদেশে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে 'নৌকা' প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে 'ধানের শীষ' প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির গেজেটে উল্লেখ করা নির্বাচনের ফলাফলের ১ নম্বর কলামের ১ নম্বর ক্রমিকের বিপরীতে ২ নম্বর কলামে 'মো. রেজাউল করিম চৌধুরী'র পরিবর্তে 'শাহাদাত হোসেন' এবং ৩ নম্বর কলামে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের' পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি' দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছিলেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা 'কারচুপি' করেছিলেন। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

মামলার এজাহারে শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।

Comments

The Daily Star  | English

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

2h ago