বৈষম্য নিরসন-পদোন্নতির দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শিশু ও গাইনি চিকিৎসকদের মানববন্ধন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে শিশু ও গাইনি চিকিৎসকদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

অন্যান্য ক্যাডারের মতো বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সব পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞ শিশু ও গাইনি চিকিৎসকদের ভূতাপেক্ষিকভাবে পদের অতিরিক্ত পদোন্নতির দাবিতে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসকরা।

আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ও বিসিএস গাইনি (জেনারেল এবং সাবস্পেশালিটি) ফোরামের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে কয়েকশত শিশু ও গাইনি চিকিৎসক অংশ নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। পরে তারা পৃথকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করেন।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ এস এম মাহমুদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানববন্ধনের পর আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে দেখা করি এবং দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, স্মারকলিপিটি তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেবেন এবং দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।'

'এ কারণে আমরা আর কোনো কর্মসূচি দেইনি। আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান হোক', যোগ করেন তিনি।

অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ড. আরিফা শারমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশু চিকিৎসকদের মতো আমরাও দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। আমাদের দাবি-দাওয়াগুলোও প্রায় এক। এ কারণে আজ আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছি এবং ডিজির সঙ্গে আলোচনা করেছি।'

'এখন আমাদের তিন সদস্যের একটা প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশের জন্য রওনা দিয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago