কথার লড়াইয়ে জড়ানো সিরাজ-হেডের শাস্তি

ছবি: এএফপি

অ্যাডিলেড টেস্ট চলাকালীন কথার লড়াইয়ে জড়ান মোহাম্মদ সিরাজ ও ট্রাভিস হেড। পরস্পরের প্রতি দুজনের শরীরী ভাষাও ছিল আক্রমণাত্মক। ওই ঘটনায় আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন তারা। তাই তাদেরকে শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

রোববার দিবারাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেটের বিশাল জয়ের পর সিরাজ ও হেডের সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। সিরাজ আচরণবিধির ২.১৩ ধারা ভঙ্গ করেছেন। তাকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। হেড ভঙ্গ করেছেন আচরণবিধির ২.৫ ধারা। তবে তাকে কোনো জরিমানা করা হয়নি। দুজনের নামের পাশেই অবশ্য একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। গত ২৪ মাসের মধ্যে এটি তাদের প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট।

স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১৪০ রান আসে ম্যাচসেরা হেডের ব্যাট থেকে। দলকে বড় লিড পাইয়ে দেওয়ার পথে তিনি ১৪১ বল মোকাবিলায় ১৭টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান। ৮২তম ওভারে ছক্কা হজমের পরের লো ফুলটস ডেলিভারিতে বোল্ড করে তার ইনিংসের ইতি ঘটান সিরাজ। মেতে ওঠেন বুনো উল্লাসে। আগ্রাসী ভঙ্গিতে হাত উঁচিয়ে হেডকে ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন ভারতের পেসার। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারও চুপ করে থাকেননি। তিনি ছুড়ে দেন কিছু কটু বাক্য। সিরাজও পাল্টা জবাব দেন। তবে তারা কী কী বলেছেন তা শোনা যায়নি স্টাম্প মাইকে।

অখেলোয়াড়সুলভ আচরণে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর সিরাজ ও হেডের শাস্তি পাওয়া অনুমিতই ছিল। সোমবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আইসিসির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা হয়েছে নিশ্চিত। ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের আনা অভিযোগ স্বীকার করে সাজা মেনে নিয়েছেন দুজন। তাই আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির দরকার আর পড়েনি।

ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের সময় অবশ্য খোশ মেজাজে পাওয়া যায় দুই তারকাকে। সিরাজ ব্যাটিংয়ে নামার পর তার সঙ্গে কথা বলেন হেড। বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর ওই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে নিয়ে নিজেদের মধ্যকার তিক্ততা মিটিয়ে ফেলেন তারা।

অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চলছে ১-১ ব্যবধানে সমতা। পার্থে হওয়া আগের টেস্টে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ব্রিসবেনে আগামী শনিবার শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Decision on AL political activities ban after official gazette received: CEC

The CEC made the remarks following a meeting with a delegation from the US-based organisation Carter Center

51m ago