অধ্যাপক জাফর ইকবালরা কেন ইভিএমকে যথাযথ মনে করেছিলেন, খতিয়ে দেখবে দুদক

মুহম্মদ জাফর ইকবাল | ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো (ইভিএম) নিম্নমানের এবং কেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতো বিশেষজ্ঞরা এগুলোকে যথাযথ মনে করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখবে দুদক।

আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।

দুদক জানায়, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের টাকায় এসব নিম্নমানের ইভিএম কিনেছে, এমন অভিযোগে গতকাল একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

অভিযানে দেখা যায়, ইভিএমগুলো নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়, ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও বিএমটিএফে সংরক্ষিত আছে। 

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেড় লাখ ইভিএম কিনলেও, দুদকের অভিযানকালে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ১ হাজার ৫৯৯টি মেশিনের খোঁজ দিতে পারেননি।

দুদক মহাপরিচালক জানান, দুদকের অভিযানে ইভিএমগুলোকে অযত্ন- অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মেশিনগুলো অকার্যকর বলে মনে হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষিত ৬১৮ মেশিনের মধ্যে দৈবচয়নের মাধ্যমে কয়েকটি মেশিনের অপারেশনাল ক্যাপাসিটি যাচাই করে যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়, যা নিম্নমানের মেশিন কেনার ইঙ্গিত বলে মনে করছে দুদক।

দুদক টিমের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতামত, ইভিএমগুলো মানসম্মত নয়।

এ অবস্থায় দুদক বলছে, এর আগে দেশের প্রথিতযশা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতো ব্যক্তিরা কোন ভিত্তিতে মেশিনগুলোকে যথাযথ মনে করেছিলেন, সেটি কমিশনের দৃষ্টিগোচরে আনা আবশ্যক বলে মনে হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক।

দুদক জানায়, সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

5h ago