উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ভবন নির্মাণকাজ ২০ বছর ধরে স্থবির

বাসাইল উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন একটি ভবন। ছবি: স্টার

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় ২০ বছর ধরে স্থবির হয়ে থাকায় আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পরস্পরকে দোষারোপ করছে।

নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খন্দকার মেরাজ অভিযোগ করেন, 'এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিল এবং দরপত্র অনুযায়ী আরও ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি।'

অপরদিকে টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের (এইচইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, 'নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দায়িত্বে অবহেলা করেছে। তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না।'

সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে সরকার বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের কাজ পায় 'সোনার বাংলা প্রকৌশল সংস্থা'।

২০০৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

দরপত্র অনুযায়ী, দুটি চারতলা, একটি দুইতলা এবং একটি একতলা ভবন নির্মাণের পাশাপাশি পুরনো ভবন সংস্কার কাজ করার কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বিল তুলে নেয় এবং প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করে। তবে এরপরই হঠাৎ করেই তারা কাজ বন্ধ করে দেয়।

এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি আর কাজ শুরু করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন ভবনগুলো থেকে দরজা, জানালা ও স্যানিটারি সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে।

সেইসঙ্গে পুরনো হাসপাতাল ভবনটি থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

কয়েকজন চিকিৎসক জানান, পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম স্থাপন করা যাচ্ছে না।

বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাইম আব্দুল্লাহ বলেন, 'নতুন ভবনগুলো ব্যবহার করা গেলে আরও বেশি রোগী ভর্তি করা সম্ভব হবে এবং চিকিৎসকদের জন্য আলাদা কনসালটেশন রুম থাকবে।'

বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শার্লি হামিদ জানান, অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো সমাধান হয়নি।

এইচইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, 'আমরা বাকি কাজের জন্য নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করবো। এটা পরবর্তী কার্য পরিকল্পনায় রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
High Court rule to curb air pollution in Dhaka

HC issues rule for curbing air pollution in Dhaka

The HC bench of Justice Kazi Zinat Hoque and Justice Aynun Nahar Siddiqua issued the rule after hearing a writ petition

1h ago