চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ভিন্ন যুক্তি দিয়ে সেমিফাইনাল নিয়ে একই প্রেডিকশন দিলেন গাভাস্কার-গাঙ্গুলী

sourav ganguly and sunil gavaskar

আইসিসি টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়াকে সবসময় শিরোপার হিসাবে রাখতে হয়। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যেতে হলে ভারতকে পার করতে হবে অস্ট্রেলিয়া-বাধা। তবে দেশটির দুই কিংবদন্তি রোহিত শর্মার দলকেই এগিয়ে রাখছেন। এর পেছনে সুনীল গাভাস্কার ও সৌরভ গাঙ্গুলী দিয়েছেন ভিন্ন যুক্তি।

আগামীকাল মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন-সহায়ক পিচ বিবেচনায় নিয়ে ভারতকে ফেবারিট মানছেন গাভাস্কার। টেস্টে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দশ হাজার রান করা এই ক্রিকেটার বলেছেন, 'এই পিচে, হ্যাঁ ফেভারিট। কারণ প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড এবং মিচেল স্টার্কের মতো মূল খেলোয়াড়রা নেই। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার তেমন ভালো স্পিন আক্রমণ আছে বলে মনে হচ্ছে না।'

কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে সাজানো ভারতের স্পিন আক্রমণ। অস্ট্রেলিয়া দলে অভিজ্ঞ লেগি অ্যাডাম জ্যাম্পার সঙ্গে রয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কুপার কনলি এবং অফস্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাভিস হেড।

অজিদের ব্যাটিং নিয়ে যদিও ভয় আছে গাভাস্কারের মনে, 'তাদের ব্যাটিং ভালো। খুব আগ্রাসী। ভারতের জন্য হয়তো আদর্শ হবে পরে ব্যাটিং করা, অস্ট্রেলিয়াকে রান তাড়ায় ফেলা ঠিক হবে না।'

অন্যদিকে গাঙ্গুলী তার প্রেডিকশনের সীমায় শুধু অস্ট্রেলিয়াকে রাখেননি। ভারত সব বাধা পেরিয়ে যাবে বলেই মনে করেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক। তার মতে উইকেটের কন্ডিশন নয়, সাদা বলের শক্তি বিবেচনাতেই এগিয়ে ভারত, 'ভারত সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে (২০২৪ সালে)। আর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে। প্রতিপক্ষ দল যেটিই হোক না কেন, সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত খুব শক্তিশালী দল। যেকোন দলকে হারানোর সক্ষমতা রয়েছে।'

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অপরাজিত থেকে এসেছে ভারত। বৃষ্টির কারণে অজিদের দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় এক জয় নিয়ে তারা এসেছেন শেষ চারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চারবার গিয়েছে ভারত। অন্যদিকে শিরোপার মঞ্চে দুইবার পা রাখতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago