‘আমরা রাজনৈতিক বিতর্কে যেতে পারব না’ গণপরিষদ নির্বাচন প্রশ্নে সিইসি

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণপরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা কোনো রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যেতে পারব না।'

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলে।

শিক্ষার্থীদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, 'আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কথা বলে। আমরা তো রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যেতে পারব না।'

'সরকারপ্রধান যেখানে একটি টাইমফ্রেম ঘোষণা করেছেন, ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে, আমরা ডিসেম্বর ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের চিন্তাভাবনা জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই,' বলেন তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'কোনো ধরনের সুপারিশ না দেখে আমরা বলতে পারব না। আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কোনটা বাস্তবায়নযোগ্য, কোনটা যোগ্য না এটি বলতে পারব না। আমরা জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান যে আইন-কানুন আছে সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
 
সিইসি বলেন, 'সরকার চিন্তা করছে কীভাবে সব সেবা এক জায়গাতেই দেওয়া যায়। আমার ধারণা ছিল, সরকার একটা এনটিটি করবে যেখানে সব ধরনের নাগরিক সেবা দেওয়া যাবে, ইনক্লুডিং এনআইডি এবং এটা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।'

তিনি বলেন, 'তবে এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে চলে যাবে, এরকম সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে বলে শুনিনি।'

'এনআইডিটা নিয়ে যাচ্ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনই করে ফেলেছিল। আমরা সেটা সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না,' যোগ করেন সিইসি।

এএমএম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, 'এমন না যে শুধু এনআইডিটা আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেল, আর সবকিছু হয়ে গেল। এমন হওয়া উচিতও না এবং এমন কিছু হবে বলেও আমি মনে করছি না।'

সরকারের এ সংক্রান্ত বৈঠকে কমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
 
তিনি বলেন, কমিশনের একটা মতামত আছে। এটা আমরা লিখিতভাবে জানাব। কেন এনআইডি ইসির অধীনে রাখা উচিত সেটার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি, প্রতিনিধির মাধ্যমে বলেছি।'

'এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। আমার এখানে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া চলছে, হাজার হাজার লোক কাজ করছে। সামনে একটা ন্যাশনাল ইলেকশন আছে যার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আমি মনে করি না,' যোগ করেন তিনি।

ঐক্যমতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত এলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'ঐক্যমত্য কমিশন থেকে যদি কোনো সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তো আমি বাধা দিতে পারব না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার এ নিয়ে আলোচনা করবে। সেটা অন্য বিষয়। যেখানে আমাদের সুযোগ থাকবে কথা বলার, সেখানেই আমরা কথা বলব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago