বিজয়ের টেস্ট দলে আসা ‘আদর্শ নয়’, আবার না এনে ‘উপায়ও ছিলো না’

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রান বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। চার সেঞ্চুরিতে তার রান ছিলো ৮৭৪। তাই ফর্ম নিয়ে কোন সংশয় নেই। তবে বিজয় যে খেলছিলেন ওয়ানডে সংস্করণ, এবার তাকে নামতে হবে দীর্ঘ পরিসরে, লাল বলের চ্যালেঞ্জে। এভাবে দলে আনা আদর্শ উদাহরণ না হলেও বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সের অসহায় কন্ঠ, 'উপায়ও তো ছিলো না।'
'উপায় নেই', কারণ গত কয়েক টেস্ট ধরেই বাংলাদেশের ওপেনাররা যেমন খেলছেন তাতে তাদের উপর আর ভরসা করা যায় না। ওপেনিং জুটি নিয়মিতই ব্যর্থ। সিলেট টেস্টে দলের ব্যর্থতার পেছনে অন্যতম কারণ ওপেনারদের ব্যর্থতা।
চট্টগ্রাম টেস্টে তাই প্রিমিয়ার লিগের ছন্দের জেরেই নিয়ে আসা হয়েছে বিজয়কে। সাদা বলে ছন্দ দেখানো খেলোয়াড়কে লাল বলে নিয়ে আসাকে আদর্শ উদাহরণ বলতে চান না সিমন্স, 'আদর্শ না (বিজয়ের দলে আসা)। কিন্তু প্রতিযোগিতার সূচি অনুযায়ী চার দিনের আসর বছরের শেষ দিকে, এখন ডিপিএলের মৌসুম চলছে। আমাদের তো উপায় নেই। আপনারা জানেন ওপেনিং জুটিটা গত কদিন ধরেই ভোগাচ্ছে।'
বিজয় অবশ্য সর্বশেষ লাল বলের প্রতিযোগিতাতেও ভালো করেছেন। জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে করেন ১৩ ইনিংসে ৭০০ রান, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩২ পেরুনো ব্যাটার ২০১৩ সালে অভিষেকের পর টেস্ট খেলেছেন মোটে পাঁচটি। তাতে তার পারফরম্যান্স মোটেও উজ্জ্বল নয়। ১০ গড়ে করতে পেরেছেন স্রেফ ১০০ রান।
টেস্ট ক্যারিয়ারকে ফের পুনর্জন্ম দেওয়ার সুযোগ এবার চট্টগ্রামে পেতে যাচ্ছেন তিনি। রোববার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সাদমান ইসলামের সঙ্গে পাশাপাশি নেটে শুরুতেই ব্যাটিং পান তিনি। পরে তাকে সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গেও কাজ করতে দেখা গেছে। মাহমুদুল হাসান জয়ের জায়গায় বিজয়ের খেলা একরকম নিশ্চিত। দেখা যাক এবারের ফেরা কতটা রাঙাতে পারেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
Comments