নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করে রিট

ফাইল ছবি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ের কিছু সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টে রিট করে বলেন, 'এসব সুপারিশ ইসলামী শরিয়াহর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।'

এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের 'নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন' গঠন করে সরকার। এ বছরের ১৯ এপ্রিল ১০ সদস্যের এই কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়।

রিটে হাইকোর্টের কাছে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ইসলামি স্কলার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের আবেদন করেন তিনি। যে কমিটি ভবিষ্যতে ধর্মীয় ও পারিবারিক আইন সম্পর্কিত যে কোনো সংস্কার পর্যালোচনা ও পরামর্শ দেবে।

রিটে বলা হয়েছে, এ বিষয়টি জাতীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও অত্যন্ত সংবেদনশীল। ৩১৮ পৃষ্ঠার 'উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫' বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত ও প্রচারিত হয়েছে। পিটিশনে উল্লেখিত বেশ কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের ইসলামি মূলনীতি, সংবিধান এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হয়।

রিট আবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে রওশন আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রতিবেদনের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সূরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি। প্রতিবেদনে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago