রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য নয়, নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি: ইসি সানাউল্লাহ

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ইসির পঞ্চম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ। ছবি: আহমেদ দীপ্ত/স্টার

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ইসি পুনর্গঠনের দাবির বিষয়টি রাজনৈতিক হওয়ায় তা নিয়ে কোনো মতামত নেই তাদের। তবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে-পরে হবে তা সরকারের ওপরই নির্ভর করছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ইসির পঞ্চম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ।

তখন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লা সাংবাদিকদের এসব বলেন।

ইসি পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন ভবনের বাইরে এনসিপির দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।'

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে ইসি বলেন, 'এটি সিকোয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে এটা নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে, কোনটা পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন আয়োজন করা।'

ইসির অধীনে নির্বাচনী প্রচারের একটি পাইলটিং প্রকল্প নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নীতিগত অনুমোদন হয়ে গেছে। চূড়ান্ত করার জন্য একটু সময় লাগবে।'

প্রার্থীতা বাতিলে ইসির সরাসরি এখতিয়ার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'এই মুহূর্তে এত বিশদ বলতে পারব না। এগুলো বিধিমালা, প্রবিধির মাধ্যমে আসবে।'

ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, 'আমরা কোন কোন আইনের বলে কাজ করেছি, তা হলো-গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ-১৯৭২, অনুচ্ছেদ ৫০; স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯, ধারা ৫৪; স্থানীয় সরকার ও পৌরসভা বিধিমালা-২০১০ বিধি, ধারা ৫৪; উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০১৩, ধারা ৫৬; স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধিমালা-২০১০; ধারা ৫৪। এগুলোতে বলা আছে, নির্বাচন দরখাস্তে কাকে পক্ষভুক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে কোনো পক্ষভুক্ত করার আইন নেই।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচনী সব ধরনের আইনবিধি পযালোচনা করা হয়েছে, তাতে ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া অতীতেও ইসির এ ধরনের পক্ষভুক্ত হওয়ার নজির নেই। সুতরাং পক্ষভুক্ত হওয়ার ব্যাপারটি আইন আমাদের সুযোগ দেয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago