উৎসবের দিনে ১১ মৃত্যু: কোহলি ‘একেবারে নির্বাক, বিধ্বস্ত’

১৮ বছরের আক্ষেপ শেষ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজ শহরে ফেরার আনন্দ কোথায় রঙিন হবে তা রূপ নিল বিষাদে। আরসিবি পাগল মাত্রাতিরিক্ত সমর্থকের ভিড় আর চরম অব্যবস্থাপনায় ঝরে গেল ১১ তাজা প্রাণ। আনন্দের বদলে এখন নির্বাক হয়ে গেছেন বিরাট কোহলি, এই ঘটনায় তিনি বিধ্বস্থ বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে আইপিএল জেতার পর বুধবার বেঙ্গালুরুতে ফেরে আরসিবি দল।  লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তাদের নায়ক কোহলি এবং আরসিবিকে স্বাগত জানাতে। তবে বিশাল জনতার উচ্ছ্বাস বিপর্যয়ে শেষ হয়। মাঠে দ্রুত প্রবেশ ঘিরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন, আহতও আরও বহু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটিকে 'একেবারে হৃদয়বিদারক' বলে অভিহিত করেন।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, নিহত ১১ জনের অধিকাংশই তরুণ ছিলেন এবং শহরের এম. চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে পদদলিত হয়ে আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন, যেখানে খেলোয়াড়রা ভক্তদের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করছিলেন।

কোহলিরা যখন ভেতরে উৎসব মঞ্চে দিচ্ছিলেন প্রতিক্রিয়া, বাইরে তখন ঘটছে নির্মম পদপিষ্ঠের ঘটনা। পরে খবর পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান সকলে। কোহলি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন: 'নির্বাক। একেবারে বিধ্বস্ত।' বিবৃতি দিয়ে পুরো ঘটনায় মর্মাহত বলে জানায় আরসিবিও।

আহতদের মধ্যে একজন এএফপিকে বর্ণনা করেছেন কীভাবে একটি 'বিশাল জনস্রোত' তাকে পিষে ফেলেছিল। হুইলচেয়ারে বসে থাকা ওই মহিলা বলেন, 'তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।' নিহতদের অধিকাংশই তরুণ ভক্ত, যারা প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য এসেছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মনোজ কুমার  তার ১৮ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যুতে পাগলপ্রায় হয়ে আহাজারি করে বলেন, 'আমি তাকে কলেজে পাঠাতে চেয়েছিলাম। আমি তাকে অনেক যত্ন করে বড় করেছি। এখন সে চলে গেছে।'

শহরের একটি মর্গের বাইরে একজন শোকাহত মা বলেন যে তার ২২ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলেও পদদলিত হয়ে মারা গেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, 'সে আরসিবি নিয়ে পাগল ছিল। সে আরসিবি শার্ট পরে মারা গেছে। আরসিবি জেতার পর তারা নেচেছিল এবং এখন সে চলে গেছে। আরসিবি কি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে?'

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

5h ago