এক ঘণ্টা ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ শেষে বাতিঘরের মালিক দীপঙ্করকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

দীপঙ্কর দাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট একটি মামলায় দেশের অন্যতম প্রধান বই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বাতিঘরের মালিক দীপঙ্কর দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এক ঘণ্টা পর তিনি ছাড়া পেয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে দীপঙ্করকে থানায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত পরিচয় নেওয়ার পর বন্ধুদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দীপঙ্কর দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জামাল খানে অবস্থিত প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় আমার দোকানে কয়েকজন পুলিশ এসে জানায়, কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আমাকে চা খেতে যেতে বলেছেন। পরে আমি তাদের ভ্যানে উঠি এবং তারা আমাকে অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কক্ষে নিয়ে যান।

'ওসি আবদুল করিম আমাকে জিজ্ঞেস করেন, "আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, জানেন?" আমি বলি, জানি। ওসি তখন বলেন, "জানতেন তো থানায় আসেননি কেন?" আমি বলি, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নই।'

দীপঙ্কর আরও বলেন, 'পরে আমাকে আরেকটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে আরেকজন কর্মকর্তা আমার বন্ধুকে ডাকতে বলেন এবং অনুরোধ করেন, যেন আমি বিষয়টি কাউকে না বলি। বন্ধু থানায় এলে সাদা কাগজে আমার বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয় এবং দুপুর ২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।'

এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমানকে ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোবেল আফরাদ বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর বেশি কিছু না।

গত বছরের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম শহরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সমাবেশে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দীপঙ্করকে আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফহিমুল ইসলাম এই মামলা দায়ের করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতা, সংসদ সদস্য এবং সাংবাদিকসহ মোট ৭৩৫ জনকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দায়ের করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago