ভারত থেকে আরও ৭৭ জনকে ‘পুশ ইন’

প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারে সীমান্তের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে অন্তত ৭৭ জনকে বাংলাদেশে 'পুশ ইন' করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল সীমান্ত, কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার জামবুরাছড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

নারী ও শিশুসহ ওই ৭৭ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পাল্লাথল বিওপির একটি টহল দল পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় কয়েকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে ১৮ শিশু, ১৫ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বিজিবিকে জানায়, তাদের বাড়ি যশোর, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল ও কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। তারা জীবিকার সন্ধানে বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে কুড়িগ্রাম ও যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা ভারতের হরিয়ানা, নয়াদিল্লিসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছিলেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

অন্যদিকে আজ সকালেই শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের জামবুরাছড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কাকমারাছড়া বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার পেট্রিক ডালবট জানান, বিএসএফ সদস্যরা শ্রীমঙ্গলের কাকমারাছড়া রাবার বাগানের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ২৩ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। পরে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে।

তিনি আরও বলেন, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে বিজিবি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে ওই ২৩ জনকে এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তরের পর তাদের নাম-ঠিকানা জানা যাবে।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল বিজিবি ব্যাটালিয়ন-৪৬ এর অধিনায়ক এএসএম জাকারিয়া জানান, আজ বিকেলে কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

'তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago