লিভারপুলকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পরদিনই দুঃসংবাদ পেল প্যালেস

ছবি: এএফপি

উয়েফা ইউরোপা লিগ থেকে বাদ পড়ার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। তা খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)। ফলে আসন্ন মৌসুমে তাদেরকে খেলতে হবে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে। এতে প্যালেসের জায়গায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্টের ইউরোপা লিগ খেলা নিশ্চিত হয়েছে।

গতকাল রোববার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পেনাল্টি শুটআউটে লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতে ইতিহাস গড়ে প্যালেস। এর পরদিনই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে তারা। গত মৌসুমে এফএ কাপ জেতায় দলটি ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। তবে একাধিক ক্লাবের মালিকানা সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ করেছে তারা। তাই ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গত মাসে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে কনফারেন্স লিগে নামিয়ে দেয়।

উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি ক্লাব একই ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। গণ্ডগোল এখানেই। আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটর গত জুন পর্যন্ত প্যালেসের ৪৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন। পাশাপাশি আগে থেকেই তিনি লিওঁর ৭৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাবটিও আসন্ন মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলবে।

প্যালেসকে গত ১ মার্চের মধ্যে মালিকানা কাঠামো পরিবর্তনের প্রমাণ দেওয়ার জন্য বেঁধে দিয়েছিল উয়েফা। কিন্তু তারা সেই সময়সীমা মিস করে ফেলে। মালিকানা কাঠামোতে বদল আসায় গত জুলাই মাসেই উয়েফার বিরুদ্ধে আপিল করে প্যালেস। একইসঙ্গে তারা আপিল করেছিল লিওঁ ও ফরেস্টের ইউরোপা লিগে সুযোগ পাওয়ার বিরুদ্ধে।

তবে রায় প্যালেসের পক্ষে আসেনি। উয়েফার দেওয়া সাজা বহাল রেখেছে সিএএস। তারা জানিয়েছে, উয়েফার নিয়ম স্পষ্ট এবং মূল্যায়নের দিনে (১ মার্চ, ২০২৫) যারা শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের জন্য কোনো ছাড় নেই। যখন মূল্যায়ন করা হয়, টেক্সটরকে তখন প্যালেস ও লিওঁ— দুই ক্লাবেই 'প্রভাববিস্তারকারী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্যালেস অবশ্য দাবি করেছিল, তাদের ওপর টেক্সটরের আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে উয়েফা তাদের যুক্তি গ্রহণ করেনি।

গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে সপ্তম হয়েছিল ফরেস্ট। তারা প্যালেসের পরিবর্তে অংশ নেবে আসন্ন ইউরোপা লিগে। আর প্যালেসকে এই মাসের শেষদিকে খেলতে হবে কনফারেন্স লিগের প্লে-অফে। সেখানে তারা মুখোমুখি হবে নরওয়ের ফ্রেডরিক্সটাড বা ডেনমার্কের মিটিল্যান্ডের।

Comments

The Daily Star  | English

Grounded planes put Biman’s schedule in disarray

Now at least four of its 10 widebody planes remain grounded, three Boeing 787s and one Boeing 777.

8h ago