ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৪৫ হাজার, বুথ ২ লাখ ৮০ হাজার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৮০ হাজার বুথের জন্য ৯ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে কমিশন তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ ও প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধির প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে নির্দেশিকা ও ম্যানুয়াল মুদ্রণের কাজ শুরু হবে। এসব উপকরণ হবে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মূল ভিত্তি।

কমিশন সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভোটার নিবন্ধন, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক সভায় ভোটকর্মীদের প্যানেল গঠন ও তাদের প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধানের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধান কমিটির প্রধান বেগম তাহমিদা আহমদ।

নির্বাচন কমিশনের চিঠি অনুযায়ী, মোট ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন ভোটকর্মী প্রয়োজন হবে এবারের নির্বাচনের জন্য।

২০২৫ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জনে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬৮ হাজার ৯৮৯ জন, ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি এবং বুথ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি।

ঢাকার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।

প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মসূচি সাধারণত তফসিল ঘোষণার তিন থেকে সাড়ে তিন মাস আগে শুরু হয়। এবার সেপ্টেম্বর মাসে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করেছে কমিশন। এ কর্মসূচির আওতায় মোট ৩ হাজার ৬০০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমদ জানান, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ছোট পরিসরে সেশন শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিওটি সেশন সম্পন্ন করা হবে।

গত ৭ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago