সেই গোল এখন দিলে জেলে যেতেন ম্যারাডোনা

maradona
বিউইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি মুহূর্তে ম্যারাডোনা। ছবি : সংগ্রহীত

নানা আলোচনা সমালোচনা পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হচ্ছে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির (ভিএআর) প্রচলন। যেখানে কোন বিষয় চোখ এড়িয়ে গেলে তা ভিডিও অ্যাসিস্টেন্টের সাহায্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিরা। আর এমন প্রযুক্তি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে থাকলে নিজের জেল হয়ে যেতো বলেই মনে করেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা।

এইতো কদিন আগেই মেজর সকার লিগে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে মাথায় আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। অথচ রেফারি বিষয়টি খেয়ালই করেননি। পরে প্রতিপক্ষের আবেদনে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্টের সাহায্য নিয়ে নিয়ে কার্ডটি দেখান। কিন্তু ভিএআর না থাকলে হয়তো বেঁচে যেতে পারতেন ইব্রা।

শুধু ইব্রার এ ঘটনাই নয়, বর্তমানে রেফারিরা প্রায়শই সাহায্য নিচ্ছেন ভিডিও অ্যাসিস্টেন্টের। ঠিক এমন প্রযুক্তি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে থাকলে কি হতে পারতো? বিউইন কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয় ম্যারাডোনাকে। উত্তরে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমি হয়তো আটক হতাম।’ তবে বিষয়টি নিছক মজা করেই বলেছেন তিনি।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৫১ মিনিটে উড়ে আসা বলে হেড দিতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু তার আগেই বলে কাছে চলে যান ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিল্টন। ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার শিল্টনকে টপকাতে হাত দিয়ে খোঁচা মারা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ম্যারাডোনার। করেছেনও তাই। রেফারি-লাইন্সম্যানদের চোখ এড়িয়ে গেলে গোল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

বর্তমান ভিএআর প্রযুক্তির যুগে গোলটি হতো না বলেই মনে করেন ম্যারাডোনা। সাক্ষাৎকারে অবশ্য এ নিয়ে অনেক মজা করেন তিনি। বর্তমানে এই গোল দিলে কি হতো জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি হয়তো গ্রেফতার হয়ে যেতাম। কারণ আপনি ৮০ হাজার দর্শকদের সামনে চুরি করতে পারবেন না।’

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago