কোন ‘জনস্বার্থে’ নদী কমিশনের চেয়ারম্যানকে সরানো হলো?

এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি যেরকম সোচ্চার ছিলেন; যে সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন—তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

চুক্তির মেয়ার এক বছর চার মাস বাকি থাকতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আশরাফুল আলমের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, 'মনজুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ জনস্বার্থে বাতিল করা হলো।'

যদিও কোন 'জনস্বার্থে' তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো তা ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ নেই। এমনকি জনস্বার্থ বলতে কী বুঝায়, সেটি বাংলাদেশের সংবিধানেও উল্লেখ নেই।

অথচ যখনই কাউকে কোথাও নিয়োগ বা বদলি করা হয়, কিংবা তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে সব সময়ই এই 'জনস্বার্থ' শব্দটি উল্লেখ করা হয়। অথচ 'জনস্বার্থ' বলতে কার স্বার্থ, সেটা অনেক সময়ই বোঝা যায় না।

তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আন্দাজ করা যায়। সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ তে বিভিন্ন শব্দের যে ব্যাখ্যা বা সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও 'জনস্বার্থ' বলতে কী বোঝানো হবে, তার উল্লেখ নেই। তার মানে কি এই যে, সরকার বা রাষ্ট্র যেটিকে 'জনস্বার্থ' বলে মনে করবে, সেটিই 'জনস্বার্থ'?

মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার আগেও 'জনস্বার্থ' শব্দটি আলোচনায় আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন-অর-রশীদের বদলির প্রসঙ্গে—যিনি গত সেপ্টেম্বরে নতুন করে আলোচনায় এসেছিলেন রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায়।

ওই ঘটনার জেরে প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে তাকে বদলি করা হয়। তার কিছু সময় পরেই আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে। আবার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই তাকে 'জনস্বার্থে' সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর কিছু পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তাকে রংপুর রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রশ্ন হলো, প্রতিটি সিদ্ধান্তই কি 'জনস্বার্থে' নেওয়া হয়েছে? দ্বিতীয়ত, এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও ক্ষমতার অপব্যবহার, মারধরসহ নানারকম অভিযোগ উঠেছে, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তখন এই 'জনস্বার্থ' কোথায় ছিল?

স্মরণ করা যেতে পারে, গত বছরের শেষদিকে প্রশাসনের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল—যার প্রতিটি প্রজ্ঞাপনেই 'জনস্বার্থ' শব্দটি উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ সরকারের দাবি, তাদের সবাইকে জনস্বার্থে অবসরে পাঠানো হয়েছে।

যেমন: গত বছরের ১৬ অক্টোবর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে। তার চাকরির মেয়াদ ছিল আরও প্রায় এক বছর। এরপর তিন পুলিশ সুপারকে তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই 'বাধ্যতামূলক' অবসরে পাঠানো হয়। তাদেরও অবসরে পাঠানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ যে আলাদা প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, তার সবগুলোর ভাষা অভিন্ন। তাতে বলা হয়, 'সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।'

প্রশ্ন হলো, আইন ও সরকারের প্রজ্ঞাপনে এই যে 'জনস্বার্থ' শব্দটি উল্লিখিত, তার ব্যাখ্যা কী? জনস্বার্থ মানে আসলে কার স্বার্থ?

ধরা যাক 'জননিরাপত্তা আইন'র কথা। এই আইনে এ যাবৎ যত মামলা হয়েছে, তার সবই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অর্থাৎ সব আমলেই সব সরকার তার বিরোধীদের দমন করতে এই আইন প্রয়োগ করে মূলত জননিরাপত্তার অজুহাতে।

একইভাবে সদ্য সংশোধিত এবং নাম পরিবর্তন হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেও বলা হয়েছিল, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই আইনে যত মামলা হয়েছে তার অধিকাংশই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত স্ট্যাটাস ও কমেন্টের কারণে, যার সঙ্গে অধিকাংশ সময়েই জনস্বার্থ, জননিরাপত্তা বা নাগরিক সুরক্ষার কোনো সম্পর্ক থাকে না।

এবার যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে তার চুক্তির মেয়াদ এক বছর চার মাস বাকি থাকতেই বাতিল করা হলো, সেখানেও জনস্বার্থের দোহাই দেওয়া হয়েছে।

এখানে দুটি ব্যাখ্যা হতে পারে:

১. মনজুর আহমেদ চৌধুরী একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে 'জনস্বার্থবিরোধী' কাজ করেছেন, যে কারণে জনস্বার্থে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২. সরকার মনে করছে যে নদী কমিশনের চেয়ার‌ম্যান হিসেবে অন্য কাউকে নিয়োগ দিলে আরও বেশি জনস্বার্থ রক্ষিত হবে, তথা দেশের নদীর সুরক্ষায় আরও বেশি কাজ হবে।

অতএব একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা যাক যে মনজুর আহমেদ চৌধুরী আসলেই কী কী 'জনস্বার্থবিরোধী' কাজ করেছেন।

গণমাধ্যমের কয়েকটি শিরোনামে চোখ বুলানো যাক:

১. নদী দখলের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে: নদী রক্ষা কমিশন (ইত্তেফাক, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩)

২. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণেই নদী দূষণ ( দ্য ডেইলি স্টার বাংলা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২)

৩. নদীদূষণ পরিস্থিতি দেখে হতাশ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রথম আলো, ২৫ জুলাই ২০২২)

৪. দখল-দূষণ নিয়ে নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের ক্ষোভ (সমকাল, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২)

গত ২২ আগস্ট নেক্সাস টেলিভিশনের লাইভ শোতেও তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার চায় না নদী কমিশন শক্তিশালী হোক। যে কারণে কমিশনের অত্যন্ত দক্ষ দুজন কর্মকর্তাকে তার সঙ্গে আলোচনা না করেই তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় মাঠ পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অনেককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে সরকার নদী দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না—মনজুর আহমেদ সেই প্রশ্নও তোলেন। তিনি বলেন, নদী দখল-দূষণ ও বালু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য কমিশনের নিজস্ব জনবল ও যানবাহন নেই। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ওপর নির্ভর করতে হয়। অনেক সময়ই এই সহায়তা পাওয়া যায় না। তাছাড়া কমিশনের বাজেট এতই কম যে কোনো কাজ করা যায় না। শুধু তাই নয়, তিনি ওই অনুষ্ঠানে দেশের কয়েকটি প্রভাবশালী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নদী দখলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন।

বিভিন্ন সময়ে তিনি নদী দূষণ ও দখলের সঙ্গে জড়িতদের নামে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, 'আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচাতে হলে এদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।'

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও খাল বিপন্ন হওয়ার পেছনে যে অপরিকল্পিত সেতু ও কালভার্ট দায়ী—সে কথাও তিনি বিভিন্ন সময়ে পরিষ্কার করে বলেছেন। সেতু নির্মাণের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির জন্য তিনি দেশের নদী বিশেষজ্ঞ এবং প্রকৌশলীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।

ঢাকার কাছেই তুরাগের উপরে অপরিকল্পিত রেল সেতু নির্মাণের কারণে ভবিষ্যতে এই নদীটি যে আরও বেশি সংকটে পড়বে, সে কথা বলেছেন, লিখেছেন। সরেজমিনে দেশের অসংখ্য বিপন্ন নদীর পাড়ে গিয়ে স্থানীয় মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে মনে হয়েছে, দেশের নদীর সুরক্ষায় তিনি সত্যিই আন্তরিক।

অন্যান্য কমিশনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান যেসব কথা বলেছেন, সেখানে সরকারের প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য এবং প্রশংসা ছিল না। বরং প্রশ্ন ছিল। নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ ছিল।

সরকার হয়তো একটি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই ধরনের প্রশ্ন, ক্ষোভ ও আক্ষেপ শুনতে চায় না। সরকার হয়তো চায় প্রশ্নহীন আনুগত্য এবং প্রশ্নহীন প্রশংসা। সম্ভবত এ কারণে তিনি টিকতে পারেননি।

তবে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দেওয়া একটি বক্তব্যকে দায়ী করছেন অনেকে।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, 'চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী দখলের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, মেঘনায় আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে, তাদের পরে পানিশমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছ।'

তিনি বলেন, 'আবার সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আর এখানে ভূমিকা রয়েছে একজন নারী মন্ত্রীর। এই হায়েনার দল থেকে নদীকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এই হায়েনার দলের পেছনে আছে রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরের ওই নারী মন্ত্রী তাদের সহায়তা করেন।'

এখানে তিনি কোন নারী মন্ত্রীর কথা বলছেন, সেটি না বোঝার কোনো কারণ নেই। তবে এর বাইরে আরও কিছু বিষয়ও তাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। যেমন: তিনি সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, যাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেশের রাজনীতি-মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে ক্রিটিক্যাল সমালোচনা করা হয়েছে। সেই সূত্রেও হয়তো মনজুর আহমেদকে সরকারের একটি অংশ 'সরকারবিরোধী' হিসেবে মনে করছে।

শোনা যায়, নদী ও পরিবেশবাদীদের একটি অংশও ভেতরে ভেতরে মনজুর আহমেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেশ প্রভাবশালী। এই অংশটিও তাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ঘটনা যা-ই হোক, এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি যেরকম সোচ্চার ছিলেন; যে সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন—তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

তার রাজনৈতিক বিশ্বাস কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, সেই পরিচয় ছাপিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করা এবং নদীতে বালু সন্ত্রাস রোধে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন; কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বোচ্চ পদে থেকেও যেভাবে কথা বলেছেন—সেগুলো আপাতদৃষ্টিতে সরকারকে বিব্রত করছে বলে মনে হলেও, তিনি যে এসব জনস্বার্থেই বলেছেন, তা নিয়ে বোধ হয় সন্দেহ পোষণ না করাই ভালো।

অথচ এরকম একজন মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হলো জনস্বার্থের দোহাই দিয়ে। এই 'জনস্বার্থ' সরকারের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন এবং প্রশংসা না করার ফল কি না; এই জনস্বার্থ নদী দখল ও দূষণকারী প্রভাবশালী শিল্প-কারখানার মালিক এবং বালু সন্ত্রাসীদের স্বার্থ কি না—সেটিই বিরাট প্রশ্ন।

 

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments