গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, হানড্রেড পারসেন্ট: জায়েদা খাতুন

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমার কোনো অভিযোগ নেই। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে।’
আজ বৃহস্পতিবার কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।

আজ বৃহস্পতিবার কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই কথা বলেন।

ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইনশাল্লাহ, সবই ভালো। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, হানড্রেড পারসেন্ট।'

জায়েদা খাতুন বলেন, 'আমার কোনো অভিযোগ নেই। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে।'

তার ছেলে ও জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, '৪৮০টি কেন্দ্রে ভোট চলছে। সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। কিছু জায়গায় আমাদের এজেন্টদের তারা ভয় দেখাচ্ছে। গাজীপুরের মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আমার মা জায়েদা খাতুনকে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য।'

তিনি বলেন, 'কোনো জায়গায় যেন সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইভিএম টেম্পারিং করা না হয়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছে সুষ্ঠু ভোটের। আমরা ভোটের মাঠে আছি, শেষ পর্যন্ত দেখব কোথাও কোনো কারচুপি আছে কি না।'

'যদি সুষ্ঠু হয়, সুন্দর হয়, তাহলে আমরা সবাইকে স্বাগত জানাব এবং ভালো ভোটের জন্য ধন্যবাদ দেবো। আর যদি কোনো অনিয়ম করা হয় তাহলে গাজীপুরবাসী কেউ এটা মেনে নেবে না, দেশবাসী এটা মেনে নেবে না,' বলেন জাহাঙ্গীর।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের ভোটার সবাইকে বলছি, কেন্দ্রে আসুন। ভোট দেন। এই শহর আপনাদের, এই ভোটের মালিক আপনারা। কোনো পেশী শক্তি যাতে কোনোভাবে ভোট নষ্ট করতে না পারে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ বাধা দিয়ে ভোট নষ্ট করতে পারবে না।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, 'অনেককে তারা রাতে ভয় দেখিয়েছে। তাতে কিছু না, আমাদের সব এজেন্ট সেন্টারে গেছে। কিছু লোককে তারা বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের এজেন্ট তারপরও ঢুকেছে। তারা টঙ্গীতে কয়েকটি জায়গায় এটা করেছিল। আমরা আরও তথ্য নিচ্ছি, কোথাও যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা হয় আমরা গণমাধ্যমের সামনে আসব।'

'জনগণ যাকে বেছে নেবে সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব,' যোগ করেন জাহাঙ্গীর।

Comments