৫১৫ রানের রেকর্ডগড়া টি-টোয়েন্টি

পিচের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মত রিজওয়ানের

পিন্ডি ক্লাব মাঠে মুলতান ও কোয়েটার মধ্যকার ম্যাচটি ছাড়িয়ে যায় আগের সব কীর্তি। সব মিলিয়ে ওঠে ৫১৫ রান! টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে দুই দলের রানই আড়াইশ স্পর্শ করে।
ছবি: এএফপি

মুলতান সুলতানস আগে ব্যাট করে তুলল ৩ উইকেটে ২৬২ রান। তবুও ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত অস্বস্তিতে থাকতে হলো তাদের। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটে পৌঁছাল ৮ উইকেটে ২৫৩ রান পর্যন্ত। তাতে দুই দল মিলিয়ে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। তবে রানবন্যার জন্য বোলারদের দায় দেওয়ার পক্ষপাতী নন মোহাম্মদ রিজওয়ান। মুলতান অধিনায়কের মতে, রাওয়ালপিন্ডির পিচের ধরনের কারণে এমনটা হচ্ছে।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) রাওয়ালপিন্ডি পর্বে বইছে রানের জোয়ার। তাতে রীতিমতো চোখ ছানাবড়া হওয়ার অবস্থা। শনিবার রাতে পিন্ডি ক্লাব মাঠে মুলতান ও কোয়েটার মধ্যকার ম্যাচটি ছাড়িয়ে যায় আগের সব কীর্তি। সব মিলিয়ে ওঠে ৫১৫ রান! টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে দুই দলের রানই আড়াইশ স্পর্শ করে। ধুন্ধুমার লড়াই শেষে পরম তৃপ্তির জয়ের স্বাদ নেয় মুলতান। তারা কোয়েটাকে হারায় ৯ রানে।

রাওয়ালপিন্ডিতে এর আগের দিনও রান উৎসবের ম্যাচে মুলতান হেসেছিল শেষ হাসি। পেশোয়ার জালমির তোলা ৬ উইকেটে ২৪২ রান তাড়া করে ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছিল তারা। আর গত বুধবারও পেশোয়ারকে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল। তারা ২ উইকেটে ২৪০ রান তোলার পর ১০ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য পেরিয়ে বিজয়ী হয়েছিল কোয়েটা।

কোয়েটার বিপক্ষে মুলতানের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পর রিজওয়ান বলেছেন, উইকেট বিবেচনায় নিলে বোলারদের কাজটা ভীষণ কঠিন হচ্ছে, 'সত্যি বলতে, বোলারদের ভুল বুঝতেই পারছি না। কারণ, পিচের এমন আচরণ যে ২৫০-২৬০ রান তুলেও ৯ রানে জিততে হচ্ছে। বোলারদের জন্য কাজটা আসলে কঠিনই। এটাই বাস্তবতা যে তাদের জন্য খুব কঠিন।'

মুলতানের রানের পাহাড়ে চড়ায় মূল অবদান ছিল উসমান খানের। মাত্র ৩৬ বলে পিএসএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ১২০ রান করেন তিনি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫৫ রান। টিম ডেভিড ২৫ বলে ৪৩ ও কাইরন পোলার্ড ১৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

কোয়েটার হয়ে বেধড়ক পিটুনি খান কাইস আহমেদ। আফগানিস্তানের এই স্পিনার ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ৭৭ রান। পিএসএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নজির এটি।

জবাব দিতে নামা কোয়েটা সম্মিলিত অবদানে ছুটছিল লক্ষ্যের দিকে। যদিও তারা সেটা পূরণ করতে পারেনি। মার্টিন গাপটিল ১৪ বলে ৩৭, ওমাইর ইউসুফ ৩৬ বলে ৬৭, ইফতিখার আহমেদ ৩১ বলে ৫৩, উমর আকমল ১০ বলে ২৮ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ৭ বলে ১৭ রান করেন। এছাড়া, নয় ও দশে নামা যথাক্রমে কাইস ও নাভিন উল হক দুজনই ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাটারদের তাণ্ডবের রাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন একজন বোলার! মুলতানের ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি পেসার আব্বাস আফ্রিদি ৫ উইকেট নেন ৪৭ রানে। এর মধ্যে ছিল হ্যাটট্রিকও। ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে নওয়াজ ও উমাইদ আসিফকে আউট করার পর ১৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনি বিদায় করেন আকমলকে।

Comments