মুমিনুল-লিটনের ব্যাটে ছয়শ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড

সেরকম কোনো বিপাকে পড়া ছাড়াই তারা রান তুলছেন দ্রুত গতিতে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকে সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নিলেন। টিকতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। একই ওভারে দুজনের আউটের পর থিতু হওয়া মুমিনুল হকের সঙ্গী হলেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেরকম কোনো বিপাকে পড়া ছাড়াই তারা রান তুলছেন দ্রুত গতিতে। এতে ছয়শর বেশি রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৭৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৪ রান।

সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে মুমিনুল ক্রিজে আছেন ১১৮ বলে ৯৫ রানে। তার চেয়েও মারমুখী ব্যাটিংয়ে ফিফটির কাছে থাকা লিটন খেলছেন ৪৭ বলে ৪৮ রানে। পঞ্চম উইকেটে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯৯ বলে ৯৬ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিশাল লিড পেলেও এখনও ইনিংস ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। এখনই যদি তারা ইনিংস ঘোষণা করে তাহলে আফগানরা পাবে ৬১৫ রানের বিরাট লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটে এটিই হবে টাইগারদের দেওয়া সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তারা।

দ্বিতীয় সেশনের ষষ্ঠ ওভারেই জোড়া আঘাত আসে বাংলাদেশের ইনিংসে। চার বলের মধ্যে আফগানিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার সাজঘরে পাঠান শান্ত ও মুশফিককে।

বল ব্যাটের কানায় লাগার পর শর্ট মিডউইকেটে আব্দুল মালিকের তালুবন্দি হন শান্ত। নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পর ১২৪ রানে থামেন তিনি। ১৫১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৫ চার। এতে ভাঙে মুমিনুলের সঙ্গে তার ১১৩ বলে ৮৩ রানের জুটি। ক্যাচ নেওয়ার আগে বল মাটিতে লেগেছিল কিনা তা জানতে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে হয়। তিনি জানান আউটের সিদ্ধান্ত।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাঁকান অভিজ্ঞ মুশফিক। কিন্তু পরের বলে রিভার্স সুইপের চেষ্টায় কুপোকাত হন তিনি। গ্লাভসে লাগার পর স্লিপে ইব্রাহিম জাদরান নেন ক্যাচ। ৩ বলে মুশফিকের রান ৮। ফলে দলীয় ২৮২ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।

দ্রুত ২ উইকেট পড়ার পর মুমিনুল পৌঁছান হাফসেঞ্চুরিতে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ঝেড়ে ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ফিফটি করতে তার লাগে ৬৭ বল। সেসময় তার ইনিংসে ছিল ৭ চার। এরপর লিটনের সঙ্গে তার জুটিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে বাংলাদেশের লিড। দুজনই খেলছেন সাবলীল ভঙ্গিতে।

১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ নির্বিঘ্নেই দিনের প্রথম ঘণ্টা পার করার পথে ছিল। আফগানিস্তানের পেসার ও স্পিনাররা পারছিলেন না শান্ত ও জাকির হাসানকে বিপাকে ফেলতে।

ইনিংসের ৩৫তম ওভারে অবশ্য গড়বড় হয়ে যায়। হাশমতউল্লাহ শহিদির বলে তিন রান নেওয়ার চেষ্টায় রানআউট হন জাকির। সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে তিনি ফেরেন ৯৫ বলে ৮ চারে ৭১ রানে। এতে ভাঙে শান্তর সঙ্গে তার ১৯৯ বলে ১৭৩ রানের জুটি। এরপর বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল ২ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে।

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে এসেছে ১ উইকেটে ১২১ রান। দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট পড়লেও রান তোলার গতি ছিল আরও জোরালো। ২২ ওভারে উঠেছে ১২৩ রান।

Comments