এশিয়া কাপ ২০২৩

শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশকেও হিসেব থেকে বাদ দিচ্ছেন না ওয়াসিম

পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম মনে করিয়ে দিলেন বাকিদের কথাও। তার মতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকেও হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না।
এশিয়া কাপ ২০২৩

এশিয়া কাপ আয়োজনে বরাবরই ভারত-পাকিস্তান লড়াইকে দেওয়া হয় বাড়তি গুরুত্ব। সূচিটা এমনভাবে ফেলা হয় যাতে দুই দল সময় পড়ে একই গ্রুপে। ফাইনালে উঠলে অন্তত তিনবার দেখা হওয়ার সুযোগ থাকে। সাম্প্রতিক ফর্ম বিচারেও এই দল এবারের এশিয়া কাপেরও সবচেয়ে হট ফেভারিট। তবে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম মনে করিয়ে দিলেন বাকিদের কথাও। তার মতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকেও হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না।

২০১৮ সালে এশিয়া কাপের সর্বশেষ ওয়ানডে আসরে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ধরে নিয়ে সমর্থক ও আয়োজকদের আবহ ছিল বিপুল। কিন্তু সেই ফাইনালে পাকিস্তানকে হটিয়ে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।

২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে শেষ আসরেও ফেভারিট তকমা ছিল বেশি ভারত-পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতকে টপকে ফাইনালে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। এমনকি কাপও জিতে নেয় তারা।

টুর্নামেন্টের স্পন্সরদের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে ওয়াসিম তাই সেসব স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন,  'গতবার আমরা প্রেডিক্ট করছিলাম ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা কাপ জিতে নিয়ে গেছে। তিন দলই  বিপদজনক। যেকেউ নিজেদের দিনে জিততে পারে।'

ওয়াসিম মনে করেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হলে ক্রিকেট বাণিজ্যের জন্য অনেক লাভজনক ব্যাপার। কিন্তু খেলার মাঠে বাকিরাও তো আছে। তাদেরও বাদ দেওয়া যাবে না। তিনি বাংলাদেশকেও রেখেছেন হিসেবে,  'অন্যরাও আছে। গতবার শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হলো। ভারত ফাইনালেও যেতে পারল না। ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি কত সমর্থন, কত নজর কত মানুষ অনুসরণ করে এই ম্যাচে। কিন্তু অন্যরাও খেলতে এসেছে। কাজেই আপনি শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশকে হিসেব থেকে বাদ দিতে পারবেন না।'

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল রেখে এশিয়া কাপের আয়োজন করে আসছে। যে বছর যে সংস্করণের বিশ্বকাপ সে বছর সেই সংস্করণের এশিয়া কাপ আয়োজন হয়। যাতে করে এশিয়ার দলগুলো বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এটাকে খুব ভালো আইডিয়া মনে করেন সাবেক বাঁহাতি পেসার,  'বিশ্বকাপের ঠিক আগে ৫০ ওভারের এশিয়া কাপ আয়োজন এসিসির খুব ভালো আইডিয়া।'

Comments