বিপিএল ২০২৪

লুইস-বিজয়ের ব্যাটে তামিমদের উড়িয়ে দিল খুলনা

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে রাতের ম্যাচ ছিল রানে ভরা। বরিশালের ১৮৭ রান ১২  বল আগে পেরিয়ে ৮  উইকেটে অনায়াসে জিতেছে খুলনা। দলের জয়ে ৪৪  বলে সর্বোচ্চ ৬৩  রান করেন বিজয়। তবে জেতার ভিত গড়ে দেন লুইসই। মাত্র ২২ বলে ২৪০ স্ট্রাইকরেটে ৫৩ করে যান তিনি। 
Evin Lewis
ছক্কায় মাত করেন এভিন লুইস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুশফিকুর রহিমের ফিফটি আর কিছু মাঝারি ইনিংসে ভর করে দুইশোর কাছে পুঁজি পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে শিশির ভেজা মাঠে ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেটে ওই পুঁজিকে সাদামাটা বানিয়ে দেন এভিন লুইস আর এনামুল হক বিজয়। অভিজ্ঞতায় ভরপুর বরিশালকে গুঁড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে রাতের ম্যাচ ছিল রানে ভরা। বরিশালের ১৮৭ রান ১২  বল আগে পেরিয়ে ৮  উইকেটে অনায়াসে জিতেছে খুলনা। দলের জয়ে ৪৪  বলে সর্বোচ্চ ৬৩  রান করেন বিজয়। তবে জেতার ভিত গড়ে দেন লুইসই। মাত্র ২২ বলে ২৪০ স্ট্রাইকরেটে ৫৩ করে যান তিনি।  আফিফের ৩৬ বলে ৪১ রানের পর শেষ দিকে নেমে মাত্র ১০ বলে ২৭ করে কাজটা দ্রুত সেরে ফেলেন শাই হোপ।

১৮৮ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে বিস্ফোরক শুরু আনেন লুইস। ক্যারিবিয়ান ওপেনারের ছক্কা-চারের স্রোতে দিশেহারা হয়ে যায় বরিশালের বোলিং।

anamul haque bijoy
ছবি: স্টার

খালেদ আহমেদ-মোহাম্মদ ইমরানরা অনেক আলগা বল দিয়েও লুইসের কাজটা সহজ করে দেন। মাত্র ২১ বলে ফিফটি করেই অবশ্য লুইস ফিরে যান।

ইমরানের বাউন্সারে হকচকিয়ে কিপারের হাতে ধরা দেন ২২ বলে ৫টি করে চার-ছক্কা মেরে ৫৩ রান করা বাঁহাতি ব্যাটার।

বিজয় খেলতে থাকেন দায়িত্ব নিয়ে। তার সঙ্গে রানে-বলে করে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন আফিফ হোসেন। ৩৫ বলে ফিফটি তুলে বিজয় ছুটে যান সাবলীল গতিতে। আফিফ মন্থর ছিলেন, ডানা মেলে ফিফটির দিকে যেতে কাবু তিনি।  ৫৯ বলে ৭৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটির পর আনুষ্ঠানিকতা সারার পথে হোপ-বিজয় মিলে ১৭ বলে তুলে নেন ৩৬ রান, শেষ করে দেন খেলা।

বরিশালের ইনিংস টেনেছেন তিন সিনিয়র তারকা। শুরুতে ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার পর তামিম ইকবালের সঙ্গে দ্রুত ৪৬ রানের জুটি পান সৌম্য সরকার।  মাত্র ১০ বলে ২২ রান করে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।

তামিম আগের ম্যাচের ছন্দ ধরে আনেন এদিনও। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত আনলেও এরপর তামিমের রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়।  মুশফিক ক্রিজে গিয়ে থিতু হতে নেন সময়। তবে থিতু হয়েই গতি বাড়াতে কোন সমস্যা হয়নি তার।

নাসুম আহমেদের বলে ৩৩ বলে ৪০ করে তামিম ফেরার পর নেমেই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ নেন মাহমুদউল্লাহ। দুটি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ২৭ করে যান তিনি।

৫১ বলে ফিফটি স্পর্শ করে মুশফিকই স্লগ ওভারে যা রান আনার এনেছেন। শেষ দিকে নেমে অভিজ্ঞ পাকিস্তানি শোয়েব মালিক ৬ বল খুইয়ে যোগ করেন স্রেফ ৫ রান। অন্তত ১৫ রানের ঘাটতি খুলনার ইনিংস শেষেই স্পষ্ট হয়ে যায়।  শিশির ভেজা মাঠে বেশ ভালো উইকেটে দুশো করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ে বরিশাল।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

3h ago