দুই ভিন্ন গল্পে একাদশে এসে নায়ক তানজিদ-রিশাদ

Tanzid Hasan Tamim & Rishad Hossain
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না তানজিদ হাসান তামিম। কে জানত শেষ পর্যন্ত তিনিই হয়ে যাবেন নায়ক, কনকাশন বদলি নেমে কাজে লাগাবেন দারুণ সুযোগ। এতেই নাটকীয়তা থামলে কথা ছিলো। তানজিদকে ছাপিয়ে শেষ বিকেলে যে বড় নায়ক বনে গেলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না তিনিও।

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচটা ছিলো চোট জর্জর এবং ঘটনাবহুল। তাতে শেষ হাসি বাংলাদেশরই। আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার করা ২৩৫ রান ৫৮  বল বাকি থাকতে টপকে ৪ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ২-১ ব্যবধানে।

অথচ ম্যাচে এক পর্যায়ে তৈরি হয়েছিলো দোলাচল। ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো বাংলাদেশ। বাকি ৫৮ রান তুড়ি মেরে উড়িয়ে চাপ জয় করেন রিশাদ। যিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এক ম্যাচে তুলেছিলেন ছক্কা ঝড়।

এবার আটে নেমে করেন ১৮ বলে ৪৮ রান। ৫ চারের সঙ্গে মারেন ৪ ছক্কা। এর আগে বোলিংয়ে ৫১ রানে ১ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তাতে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই তরুণ। অথচ প্রথম দুই ম্যাচে বাইরে বসে ছিলেন রিশাদ। তাইজুল ইসলামের বিবর্ণ পারফরম্যান্স সুযোগ করে দেয় তাকে।

প্রথম দুই ম্যাচ বাইরে বসে এদিনও সুযোগ পাননি তানজিদ। লিটন দাসের বদলে একাদশে নেওয়া হয়েছিলো এনামুল হক বিজয়কে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সুযোগ পেয়ে যান তানজিদ।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে চোট পান সৌম্য। পরে জানানো হয় ঘাড়ের আঘাতে তার কনকাশন হয়েছে। সৌম্যের বদলি নেমে শ্রীলঙ্কাকে চমকে দেন বিপিএলে ভালো করা বাঁহাতি ব্যাটার।

২৩৫ রান তাড়ায় তার ব্যাটেই আগ্রাসী শুরু পেয়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলে বাংলাদেশ।  ৮১ বলে ৯ চার, ৪ ছক্কায় ৮৪ করেন তানজিদ। এতে একটি রেকর্ডও হয়ে যায়। ওয়ানডেতে মারনাশ লাবুশানেকে ছাপিয়ে কনকাশন বদলি হিসেবে সবচেয়ে বড় ইনিংস এখন তার।

বিজয়কে এক পাশে রেখে ৮ ওভারেই ৫০ তুলে আনেন বোর্ডে। বিজয় ২২ বলে ১২ করে লাহিরু কুমারার শিকার হন, নাজমুল হোসেন শান্তকেও তুলে নেন লাহিরু।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৯ রানের আরেক জুটি পান। হৃদয়ের পর মাহমুদউল্লাহও দ্রুত বিদায় নিলে চাপ বাড়ে বাংলাদেশ। তানজিদ চালিয়ে যান তার সাবলীল পথচলা। বড় শটে খেলা করে দেন সহজ। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে দলের ১৩০ রানে তিনি যখন ফেরেন তখনও অনেকটা পথ বাকি।

মুশফিকুর রহিম-মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ করেন ৪৮ রান। মিরাজের বিদায়ের পরও অভিজ্ঞ মুশফিক ধরে রাখেন এক প্রান্ত, রিশাদ তুলতে থাকেন ঝড়। তাদের ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটির ৪৮ রানই নিয়েছেন রিশাদ।

সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপে পুড়েন পাথুম নিশানকা। আভিশকা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, সাদেরা সামারাবিক্রমাদের ব্যর্থতার দিনে দলকে টানেন ছয়ে নামা জেনিত লিয়ানাগে। এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার ২০০ করা নিয়ে ছিলো শঙ্কা। লিয়ানাগে সেই রান নিয়ে যান লড়াইয়ের জায়গায়। ১০২ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।  তবে তাতেও যে তাদের পুঁজি পর্যাপ্ত ছিলো না সেটা বুঝিয়ে দেন তানজিদ-রিশাদরা।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

2h ago