বাংলাদেশের ভালো শুরু ম্লান করে পাকিস্তানের দুইশো ছাড়ানো পুঁজি

পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে প্রথম দুই ওভারেই তুলে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে দারুণ এই শুরু ধরে রাখতে পারেনি লিটন দাসের দল। সালমান আলি আঘার ফিফটির পর হাসান নাওয়াজ ও শাদাব খানের ঝড়ো দুই ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ছাড়িয়েছে দুইশো রান।
লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২০১ রান করেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই নিয়ে তৃতীয়বার দুইশো ছাড়ানো পুঁজি পেল পাকিস্তান। শক্ত সংগ্রহ পেতে অধিনায়ক সালমান ৩৪ বলে ৫৬, হাসান ২২ বলে ৪৪ ও শাদাব ২৫ বলে করেন ৪৮ রান। শরিফুল ইসলাম ৩২ রানে পান ২ উইকেট।
শুরুতেই উইকেট পায় বাংলাদেশ। আমিরাত সিরিজে হতাশ করা শেখ মেহেদী তৃতীয় বলেই ফেরান সাইম আইয়ুবকে। পাকিস্তানি ওপেনার থেমে আসা বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোলারের হাতেই দেন সহজ ক্যাচ।
দ্বিতীয় ওভারে আরেক বিপদজনক ওপেনার ফখর জামানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের লেগ-মিডলের বল খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হওয়া ফখর করেন ১ রান। ৫ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। চাপে পড়া দলকে এরপর গা ঝাড়া দিয়ে টেনে তুলতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস। সালমানও থিতু হয়ে সচল হন। শুরুতে স্থবির পাকিস্তান পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলে নেয় ৫২ রান।
পাওয়ার প্লের ঠিক পরেই ব্রেক থ্রো এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তার থেমে আসা বল পুল করতে গিয়ে লং অনে ধরা দেন ১৮ বলে ৩১ করা হারিস।
অধিনায়ক সালমান সময় নিয়ে থিতু হওয়ার ফল তুলতে থাকেন দ্রুত, পাওয়ার প্লের পর তার ব্যাট হয় বেশি সচল। তানজিমের এক ওভারে ১৬ রান তুলে ২৯ বলে করেন ফিফটি। এরপর আর বল পাননি তানজিম। সালমান অবশ্য বেশিদূর এগুতে পারেননি। হাসান মাহমুদের বলে ৩৪ বলে ৫৬ করে থামেন।
সালমানকে থামানো বাংলাদেশ এরপর ভুগতে থাকে হাসান নাওয়াজের ঝড়ে। রিশাদ হোসেনের বলে পারভেজ হোসেন ইমন ক্যাচ ছাড়লে ৪০ রানে জীবন পেয়েও পরের বলেই ফেরেন ২২ বলে ৪৪ করে।
মাঝের ওভারে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন অনিয়মিত স্পিনার শামীম হোসেন। প্রথম ওভার ছাড়া শেখ মেহেদী কার্যকর না হওয়ায় শামীম ঘাটতি পূরণে রাখেন ভূমিকা। ৪ ওভারের স্পেলে ৩১ রানে নেন ১ উইকেট।
শেষ দিকে পাকিস্তানের রান বাড়ানোর নায়ক শাদাব খান। এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ছয়ে নেমে খেলেন ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। তাতেই দুইশো ছাড়ায় তাদের দলের পূঁজি।
Comments