দলের প্রয়োজন হলে ‘এক হাতে’ ব্যাট করতে নামবেন ওকস!

প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে মারাত্মক আঘাত পান ক্রিস ওকস, ম্যাচ থেকেই ছিটকে যান তিনি। তাকে এরপর স্লিংয়ে হাত ঝুলিয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে ওভালে পঞ্চম ও শেষ দিনে দলের প্রয়োজনে ব্যাট করতে নামবেন তিনি।
ওভালে চতুর্থ দিনেই শেষ হতে পারত খেলা। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে জেতার দিকে ছিলো ইংল্যান্ড। তবে আচমকা তিন উইকেটের পতনে ম্যাচ আসে নতুন মোড়। ভারতের পেসাররা চেপে বসায় স্বাগতিক শিবিরে তৈরি হয় শঙ্কা।
হাতে আছে ৪ উইকেট, জিততে দরকার ৩৫ রান। তবে ওকস ব্যাট করতে না পারলে ৩ উইকেট নিলে জিতে যাবে ভারত। রান বেশি না হলেও এখনো অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব।
তেমন কোন বিপদ যাতে না হয় সেজন্য সতর্ক ইংল্যান্ড। ওকসও ব্যথা সামলে এক হাতে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত। ৩৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা রুট দিনের খেলা শেষে জানিয়েছেন এমনটা, 'সে আমাদের বাকিদের মতোই দলের জন্য নিবেদিত। এটা এমন একটি সিরিজ ছিল, যেখানে খেলোয়াড়দের নিজেদের শরীরকে ঝুঁকিতে ফেলতে হয়েছে। আশা করি, পরিস্থিতি এমন হবে না। প্রয়োজন হলে সে প্রস্তুত (নামার জন্য)... সে যেকোনো কিছু করতে মরিয়া।'
ওকস কীভাবে খেলতে নামবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। তিনি ডান হাত নাড়াতেই পারছেন, ঝুলিয়ে রেখেছেন স্লিংয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ম্যালকম মার্শালের এক হাতে ব্যাট করার দৃশ্য মনে আসে, ট্রেন্ট ব্রিজে একবার তিনি একজন সতীর্থকে তার সেঞ্চুরি করতে সাহায্য করার জন্য এক হাতে নেমে গিয়েছিলেন।
রুট বিস্তারিত কিছু না জানালেও নিশ্চিত করেছেন যে ওকস এখনও অনেক অস্বস্তিতে আছেন, 'আমি নিশ্চিত নই, আমি তাকে এখনও অনুশীলন করতে দেখিনি। সম্ভবত আগামীকাল সকালে সে কিছু থ্রোডাউন নিলে আপনি আরও ভালো ধারণা পেতে পারেন। স্পষ্টতই সে প্রচণ্ড ব্যথার মধ্যে আছে। আমরা এই সিরিজে অন্যান্য খেলোয়াড়দের দেখেছি, [রিশভ] পান্ত ভাঙা পা নিয়ে ব্যাট করছে, খেলোয়াড়রা এই সিরিজে সব ধরনের আঘাত পাচ্ছে।'
ওকস মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের প্রয়োজনে ব্যথাতে তুচ্ছ করে নামতে চান তিনি, রুট এই ব্যাপারটা আলাদা করে দেখছেন, 'এটি কেবল তার চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব দেখায় যে সে ইংল্যান্ডের জন্য নিজের শরীরকে এভাবে ঝুঁকিতে ফেলতে ইচ্ছুক, এবং আশা করি, তাকে এটা করতে হবে না। তবে যদি এমন পরিস্থিতি আসেও তাহলে সে আমাদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবে এবং আমাদের একটি অবিশ্বাস্য সিরিজ জিতিয়ে দেবে।'
সিরিজে পিছিয়ে থাকা ভারত এই ম্যাচ জিতে সমতায় শেষ করতে মরিয়া ছিলও। ইংল্যান্ডকে তারা দেয় রেকর্ড ৩৭৪ রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। যা ওভালের মাঠে আগে কখনো হয়নি।
বিশাল লক্ষ্য নেমে ৫০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও এরপর ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায়। যদিও ৯ রানে থাকা বুকের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। পরে ৯৮ বলে ১১১ রান করে লক্ষ্য সহজ বানিয়ে দেন বুক।
আর অন্যদিকে রুট নিজের চেনা ছন্দ দেখিয়ে আরেক সেঞ্চুরিতে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জেতার দিকে। তবে অসময়ে তার বিদায়ে তৈরি হয় শঙ্কা।
ভারতের হাতে আরও ২২ বল পর দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার সুযোগ আছে। যদিও এখনো ইংল্যান্ড জয়ের কাছাকাছি রয়েছে। পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর আগে পিচে রোলার দিয়ে রোল করা হবে। তাতে বাটারদের পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
Comments