কোচকে দায় দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরে রামোস

সবশেষ বড় দুটি প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাননি। স্পেন দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই ছিল বড় অনিশ্চয়তা। সেটা নিয়ে আর এগোতে চাইলেন না তারকা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস।
ছবি: সংগৃহীত

সবশেষ বড় দুটি প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাননি। স্পেন দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই ছিল বড় অনিশ্চয়তা। সেটা নিয়ে আর এগোতে চাইলেন না তারকা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ৩৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন তিনি। বিদায়বেলায় জানালেন, জাতীয় দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা রাখেননি তার জন্য।

গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রামোস। স্পেনের জার্সিতে ২০১০ বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো জিতেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন সরে দাঁড়ানোর কারণ।

একরাশ বেদনা নিয়ে পিএসজি ফুটবলার রামোস লিখেছেন, 'স্পেন জাতীয় দলকে বিদায় বলার এটাই উপযুক্ত সময় আমার। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বর্তমান প্রধান কোচের কাছ থেকে আমি একটি ফোনকল পেয়েছি। তিনি আমাকে জানান যে আমি যেমন পারফর্মই করি না কেন কিংবা আমার ক্যারিয়ারে যা-ই করি না কেন, আমি তার পরিকল্পনার অংশ নই। তাই দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলছি, এটাই আমার পথের শেষ। যদিও আশা করেছিলাম যে পথটা আরও দীর্ঘ হবে এবং লা রোহাদের হয়ে যত সাফল্য অর্জন করেছি সেটার সঙ্গে মিল রেখে মধুর স্বাদ নিয়ে শেষ করতে পারব।'

২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল রামোসের। এরপর স্পেনের তো বটেই, ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। লা রোহাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার দখলে। রক্ষণ সামলানো মূল কাজ হলেও গোল করাতেও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন রামোস। তার নামের পাশে রয়েছে ২৩ গোল। স্পেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তার অবস্থান নয় নম্বরে।

২০২১ সালের মার্চের পর আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা হয়নি রামোসের। স্পেনের সাবেক কোচ লুইস এনরিকের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সেকারণে ২০২০ ইউরো ও ২০২২ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডাক মেলেনি তার।

গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে মরক্কোর কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় স্প্যানিশরা। এমন ভরাডুবির পর এনরিকে হন বরখাস্ত। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়া দে লা ফুয়েন্তে কিছুদিন আগে বলেছিলেন, জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি রামোসের জন্য। তাতে জেগেছিল সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার ফেরার আশা। কিন্তু রামোসের বক্তব্য অনুসারে, সেই অবস্থান থেকে দ্রুতই সরে দাঁড়িয়েছেন দে লা ফুয়েন্তে। তাই গত কয়েক মৌসুম ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা ফুটবলার বেদনা নিয়ে শেষ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

বিদায়ী বার্তায় রামোস আরও লিখেছেন, 'গভীর আবেগের সঙ্গে আমি আমার দেশকে সমর্থন করা চালিয়ে যাব এমন একজন ভাগ্যবান হিসেবে যে গর্ব সহকারে ১৮০ বার দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমার হৃদয়স্পর্শী ধন্যবাদ তাদের প্রতি যারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago