মেসি যেখানে স্বস্তি পায় তাকে সেখানে যেতে দিন: স্কালোনি

Lionel Scaloni & Lionel Messi
জাতীয় দলের কোচ স্কালোনির সঙ্গে মেসি। ফাইল ছবি

লিওনেল মেসির ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবলের যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি মনে করেন মেসি যেখানে গিয়ে স্বস্তি পান তাকে সেখানেই যেতে দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি বিস্ফোরক এক খবর প্রকাশ করে। তারা জানায় আসন্ন মৌসুমেই পিএসজি ছেড়ে মেসির সৌদির এক ক্লাবে যোগ দেওয়ার পাকা কথা হয়ে গেছে। সেই ক্লাবটির নাম না জানালেও ধারণা করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের প্রস্তাবে আল-হিলালে যোগ দিতে পারেন তিনি। যেহেতু আল-নাসেরে খেলছেন আরেক মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, সেক্ষেত্রে মেসিকে আল-হিলালে দেখতে চায় খোদ সৌদি সরকারও!

মেসি কাতারের মালিকানাধীন পিএসজি ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা তা জানতে কাতারের আল কাস চ্যানেল কথা বলেছে আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনির সঙ্গে। তিনি এই ব্যাপার স্পষ্ট না করলেও মেসির ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন,   'তাকে সেখানে যেতে দিন যেখানে সে স্বস্তি পায় সতীর্থদের নিয়ে এবং ক্লাবের ভক্তদের নিয়ে।'

ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে দিলেও এটা জাতীয় দলের খেলায় তা প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন স্কালোনি,  'এই বিষয়টি জাতীয় দলে আমাদের প্রভাবিত করবে না। সে যখন আমাদের সঙ্গে যোগ দেয় তখন খুশি থাকে, তাকে হাশিখুশি হিসেবে পাওয়াই দরকার।'

মেসির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে আরেক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে আল-হিলালে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেয়ে গেছেন মেসি। এখন কেবল তা প্রকাশের অপেক্ষায়।

আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ এনে দেওয়া মেসিকে নিজেদের পর্যটনের শুভেচ্ছা দূত বানায় সৌদি আরব সরকার। এই কাজেই কদিন আগে সৌদি গিয়েছিলেন তিনি। তবে তার ক্লাব পিএসজির অনুমতি ছাড়া সেখানে যাওয়ায় বিতর্কের মধ্যে পড়েন তিনি। তাকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধের গুঞ্জনও উঠে। পরে অবশ্য এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাওয়ার পর পিএসজির অনুশীলনেও ফেরেন এই তারকা। তার একদিন পরই এএফপি জানাচ্ছে, ফ্রান্স ছেড়ে মেসির সৌদি আরব পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনার কথা।

Comments

The Daily Star  | English

JnU second campus: Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

2h ago