ফুটবল

ইন্দোনেশিয়াকে সহজেই হারাল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা

লেয়ান্দ্রো পারেদেসের দর্শনীয় লক্ষ্যভেদের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।
ছবি: টুইটার

সামর্থ্য, ঐতিহ্য ও ফিফা র‍্যাঙ্কিং– সবদিক থেকেই আর্জেন্টিনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে ইন্দোনেশিয়া। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে অনুমিতভাবেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে দাপুটে ফুটবল খেলল লিওনেল স্কালোনির দল। অধিনায়ক লিওনেল মেসিসহ নিয়মিত তারকাদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সহজ জয় পেল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

সোমবার জাকার্তায় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ২-০ গোল হারিয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৪৮ ধাপ এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। উভয় অর্ধে একবার করে জাল খুঁজে নেয় তারা। লেয়ান্দ্রো পারেদেসের দর্শনীয় লক্ষ্যভেদের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।

ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময়ে বল ছিল আর্জেন্টাইনদের দখলে। আক্রমণের স্রোত বইয়ে দিয়ে গোলমুখে ২১টি শট নিয়ে তারা সাতটি রাখে লক্ষ্যে। ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক বাধা হয়ে না দাঁড়ালে তাদের জয়ের ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া দুয়েকবার গোলের সম্ভাবনা জাগালেও সেই অর্থে আলবিসেলেস্তেদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। গোলমুখে তাদের নেওয়া পাঁচটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।

ছবি: টুইটার

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের একাদশে সাতটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। মেসি, আনহেল দি মারিয়া ও নিকোলাস ওতামেন্দির বিশ্রাম পাওয়ার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। বেঞ্চে রাখা হয় এঞ্জো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্তার, রদ্রিগো দেল পল আর মার্কোস আকুনিয়াকে।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলে ইন্দোনেশিয়ার রক্ষণে হানা দিতে থাকে সফরকারীরা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে উইঙ্গার নিকোলাস গঞ্জালেজের নিচু শট রুখে দেন গোলরক্ষক এরনান্দো আরি। ফিরতি বলে ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ।

২৯তম মিনিটে আর্জেন্টিনার গোল না পাওয়াটাই ছিল বিস্ময়ের! প্রতিপক্ষের ভুলে ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে যান মিডফিল্ডার ফাকুন্দো বুয়োনানোত্তে। গোলরক্ষককে কাটিয়ে তার নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার এলকান বাগোত। আলগা বলে আলভারেজের শট পারেনি আরিকে ফাঁকি দিতে।

অবশেষে ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয় স্কালোনির শিষ্যরা। মিডফিল্ডার পারেদেস ৩০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে নিশানা ভেদ করেন। ছয় মিনিট পর ফের গোলের উল্লাস করার দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন আলভারেজ। মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোর থ্রু বলে তার শট জালের বাইরের দিকে লাগে।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ইন্দোনেশিয়া পরীক্ষা নেয় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। মিডফিল্ডার আইভার ইয়েনারের শট আটকান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। বিরতি শেষে খেলা আবার চালু হলে দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভ করেন তিনি। বাগোতের হেড কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি।

ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডিফেন্ডার রোমেরো। লো সেলসোর কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন তিনি। বাকি সময়েও চালকের আসনে ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু জাল আর কাঁপাতে পারেনি বিশ্বকাপের তিনবারের শিরোপাজয়ীরা। অভিষিক্ত বুয়োনানোত্তে, আলভারেজ ও বদলি ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গার্নাচোর প্রচেষ্টা সফলতা পায়নি।

Comments